ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ ৭, স্বতন্ত্র ৪

নরসিংদী প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১  
নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ ৭, স্বতন্ত্র ৪

চতুর্থ ধাপে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে নরসিংদীর দুই উপজেলা পলাশ ও মনোহরদীর ১১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ। 

১১ ইউপি হলো- পলাশ উপজেলার জিনারদী ও চরসিন্দুর এবং মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা, চালাকচর, চন্দনবাড়ী, বড়চাপা, কাচিকাটা, শুকুন্দি, দৌলতপুর, একদুয়ারিয়া ও গোতাশিয়া। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৮১ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।  মোট ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের ৫৯১টি স্থায়ী ও ৫১টি অস্থায়ী ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে।  মোট ২ লাখ ৬ হাজার ৫১৩ জন ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৭০৪ জন ও পুরুষ ১ লাখ ৮০৯ জন।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নরসিংদীর দুই উপজেলার ১১ ইউপিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্বে ছিলেন একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট।  এছাড়াও র‌্যাবের ১২টি টিম ও ৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। 

নির্বাচনে শীতের কারণে শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।  তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের ভিড় বাড়তে থাকে।  পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি লক্ষণীয়।

এদিকে, চতুর্থ ধাপে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ২টি ও মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নসহ মোট ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে ৪টিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ও ৭টিতে আ.লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- পলাশ উপজেলার জিনারদীতে কামরুল ইসলাম গাজী (আ.লীগ) ও চরসিন্দুর ইউনিয়নে মোফাজ্জল হোসেন রতন (আ.লীগ) এবং মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়িতে আব্দুর রউফ হিরন (আ.লীগ), শুকুন্দিতে সাদিকুর রহমান শামীম (আ.লীগ), কাচিকাটায় মোবারক হোসেন খান কনক (স্বতন্ত্র), বড়চাপায় এম সুলতান উদ্দিন (আ.লীগ), লেবুতলায় জাকির হোসেন আকন্দ (আ.লীগ), গোতাশিয়ায় আবুল বরকত রবিন (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে শরীফ মাহমুদ খান বাহালুল (স্বতন্ত্র), চালাকচরে ফখরুল মান্নান মুক্তু (নৌকা) এবং একদুয়ারিয়ায় মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক (স্বতন্ত্র)। 

এদিকে, নরসিংদীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। কোন ভোটকেন্দ্র স্থগিতও করতে হয়নি। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন।  কোথাও কোন সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

মাহমুদ/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়