ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেয়ার লক্ষ্যে গঠিত ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের নগদ জমা অনুপাত (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তরল অনুপাত (এসএলআর) সংরক্ষণের নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রচলিত ব্যাংকের মতো এসব ইউনিটকেও সাড়ে ৫ শতাংশ হারে নগদ এবং বিভিন্ন উপাদানের বিপরীতে ১৩ শতাংশ হারে রাখতে হবে। ব্যাংকগুলো চাইলে বৈদেশিক বা স্থানীয় মুদ্রায় তা সংরক্ষণ করতে পারবে।

১৯৮৫ সাল থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতদিন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম চললেও গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের মতো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটকেও সিআরআর, এসএলআর সংরক্ষণসহ কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন গন্ডি নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। এখন সিআরআর-এসএলআর রাখার উপায় নির্দিষ্ট করে দেয়া হলো।

সার্কুলারে বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের চলতি বছরের ১ জুলাইর মেয়াদি ও চলতি দায়-এর ওপর ভিত্তি করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে হবে। আর এ সংক্রান্ত রিপোর্ট করতে হবে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে। তবে কোন ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের চলতি ও মেয়াদি দায় কত সে বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে।

অফশোর ব্যাংকিংয়ের মেয়াদি ও চলতি দায় হিসাবের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আমানত, দেশের বাইরে অবস্থিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া আমানত এবং ঋণ, পরিশোধযোগ্য অন্য দায় বিবেচনায় নিতে হবে। টাকায় বা বৈদেশিক মুদ্রায় যা সংরক্ষণ করা যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রক্ষিত এফসি হিসাবের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রাখা যাবে। বাকি শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ রাখতে হবে টাকায়। আর এসএলআর হিসাবের ক্ষেত্রে ‘নষ্ট্রো’ এ্যাকাউন্টে রক্ষিত অর্থও বিবেচনায় নেয়া যাবে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৯/নাসির/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়