ইকোনোমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেব: অর্থমন্ত্রী

জাপানি মোটর সাইকেল নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হোন্ডার মতো বাংলাদেশে অন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দেশে ১০০ টি ইকোনোমিক জোন তৈরি হচ্ছে, যেখানে আমরা অলআউট সাপোর্ট দেব।’

শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকার আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চলে হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকের প্রশ্নে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র নয় থেকে ১০ মাসের মধ্যে এই (হোন্ডা) ফ্যাক্টরি সেট আপ করেছে। এটা একটা উদাহরণ যে, বাংলাদেশে কম সময়ে ব্যবসা করা যায়।

আমি মনে করি, অন্য জাপানি যে কোম্পানি আছে, তারাও হোন্ডার দেখাদেখি চলে আসবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও আসবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, আব্দুল মোনেম গ্রুপ এ স্পেশাল ইকোনোমিক জোন খুব অল্প সময়ে ভালো ডেভেলপ করেছে ।

অন্যান্য ইপিজেডের অগ্রগতির ব্যপারে সাংবাদিকের বলেন, ‘আমাদের সরকার থেকে যে পরিকল্পনা, সেটা হলো ইকোনোমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেব। তাদের কোন রকম সমস্যা হলে সেটা জরুরি সমাধানে পদক্ষেপ নিব। কোথাও কোন শিল্প কারখানা যদি কোন সমস্যা ফেস করে, আমাদের বললে সেটা সুরাহা করবো। স্পেশাল ইকোনেমিক জোন অথরিটি আছে, এ ব্যাপারে তারও কাজ করছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, মিরসরাই স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে অসাধারণ কর্মতৎপরতা চলছে, মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিটা ইকোনোমিক জোনে না হলেও চার ভাগের এক ভাগ জোনের প্রগ্রেস খুব ভালো।’

ইকোনোমিক জোনের কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের লক্ষ‌্যে চলছি।’

প্রসঙ্গত, মুন্সিগঞ্জে ২৫ একর জমির ওপর প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে শিল্পকারখানাটি গড়ে তুলেছে হোন্ডা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে এই ফ্যাক্টরিতে বছরে এক লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্যানুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলা হবে।

 

ঢাকা/হাসিবুল/সাজেদ