ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ওয়ালটন বাংলাদেশের বিগ নেম’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ১৪ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটন বাংলাদেশের বিগ নেম’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ওয়ালটন আমাদের পণ্য। আমরা ওয়ালটন পণ্যের জন্য গর্বিত। ওয়ালটন বাংলাদেশের বিগ নেম।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করছে আইটিসি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।

ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন রয়েছে প্ল্যাটিনাম স্পন্সর হিসেবে। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে স্যামসাং এবং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স, ডাচবাংলা ব্যাংক এবং সিম্ফনি রয়েছে সিলভার স্পন্সর হিসেবে। প্রদর্শনীতে ওয়ালটনের রয়েছে মেগা প্যাভিলিয়ন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান সরকার দেশীয় শিল্প বিকাশে সহায়তা দিচ্ছে। উৎপাদনবান্ধব নীতি তৈরি, জাতীয় বাজেটে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন রকমের সুবিধা দিয়ে আসছে। যার ফলে দেশের অনেক উৎপাদক এগিয়ে আসছে। ভালো করছে। আমি বলব- এর মধ্যে ওয়ালটন অন্যতম।

এ সময় তিনি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানান, ওয়ালটন প্রতি মাসে ৩০ হাজার ল্যাপটপ তৈরি করছে। ২০১৭ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত ৫০ লাখ মোবাইল ফোন বানিয়ে বিক্রি করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ১০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ চার কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করছে। এর ৫০ শতাংশ ফোন যদি বাংলাদেশে তৈরি করা হয় তাহলে লক্ষাধিক তরুণের কর্মসংস্থান হবে। কারণ আমাদের রয়েছে তারুণ্যের অরণ্য শক্তি। সরকার নিজে ব্যবসা করতে চায় না, অন্যদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি প্রথম রোবট ‘লি’ যেটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ১১টি রোবট রপ্তানি করেছে। রোবট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিত হবে। বাঙালিদের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

এরপর প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতার রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য কিছুই এখন অসম্ভব না। এ সময় তিনিও ওয়ালটনকে বাংলাদেশের বিগ নেম হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পরে তিনি ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নসহ বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুততম অর্থনীতির একটি। জাতিসংঘ বলছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত দশ বছরে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনা বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

আবদুল মোমেন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচয় পেয়েছে। যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং সময়ভিত্তিক বাস্তবায়ন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, সিনিয়র সচিব জিয়াউর রহমান, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, হোসনে আরা বেগম, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক রিফাহ তাসনিয়া স্বর্ণা, ওয়ালটন ঢাকা ওয়াল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস এলিয়েন্স এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. জেমস (জিন) পয়সন্ট, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম রেজাউল আলম শামীম।

‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার থেকে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী দেশের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯।’

মেলা উপলক্ষে অনলাইনে ই-প্লাজায় সব ধরনের ওয়ালটন পণ্যে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট থাকছে।


ঢাকা/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়