ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিডনিতে বাংলাদেশ-অষ্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্মেলন

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ১৫ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিডনিতে বাংলাদেশ-অষ্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্মেলন

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এবিবিসি) এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কেও সম্ভাবনা ও বাধাসমূহ চিহ্নিত করা এবং তা দূরীকরণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সিডনির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া প্রথম বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার সম্মেলনের শেষ দিনে বিনিয়োগ, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক বাধা দূরীকরণের  উপর তিনটি পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সম্মেলনে অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিল্পপতি, সরকারি কর্মকর্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিণিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প, কৃষি পণ্য ছাড়াও শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ এবং আর্থিক সেবা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’

সম্মেলনে অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকের উত্থানের উপর আলোকপাত করে আর্থিক সাহায্যের বাইরে বাণিজ্যিক লেনদেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং দ্বি-পাক্ষিক সেক্টরাল সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।

সম্মেলনের প্রথম দিনে টেক্সাটাইল, কৃষি পণ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানী তিনটি থিমেটিক এবং ফার্মাসিউটিক্যাল এবং চামড়াজাত পণ্যের উপর পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। টেক্সাটাইল সেশনে এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশ যেসকল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ নতুন টেকনোলজি, অটোমেশন, পণ্য বহুমুখীকরণের প্রতি গুরুত্বারোপের সুপারিশ করা হয়।

কৃষি বিষয়ক সেশনে নতুন কৃষি পণ্য চিহ্নিতকরণ, বাজারজাতকরণ যা দুই দেশকে লাভবান করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচকবৃন্দ কৃষি খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সেশনে আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির কারণে উচ্চমানসম্পন্ন কয়লা এবং এলএনজি প্রয়োজন হবে, যা অষ্ট্রেলিয়া সরবরাহ করতে পারবে। বাংলাদেশে খনিজ পদার্থ আহরণে অষ্ট্রেলিয়ার কারিগরী ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। অনুষ্ঠানে ঔষধ শিল্প ও চামড়া শিল্প সেশনে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।


ঢাকা/হাসনাত/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়