রপ্তানি পণ্যের তালিকা গেছে বেলারুশ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্যিক জটিলতা দূর হলে বেলারুশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। দু-দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আন্দ্রে দাপকুনাস দেখা করেন। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী  বেলারুশের মন্ত্রীকে এ কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেলারুশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং উভয়দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে ইতিমধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর পাশাাপশি প্রটোকল স্বাক্ষর করা হয়েছে। বেলারুশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, আলু ও বিভিন্ন কৃষি  পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়  থেকে ইতিমধ্যে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকা বেলারুশে পাঠানো হয়েছে। বাণিজ্য জটিলতাগুলো দূর হলে রপ্তানি বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা দূর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশ ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছে, এখানে ইউরেশিয়া ইকোনমিক জোন করতে চাইলে বাংলাদেশ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ উন্নত মানের আলু উৎপাদন হচ্ছে। এগুলো বেলারুশে রপ্তানির  সুযোগ রয়েছে। আলুর আরো উন্নত জাত আবিষ্কার করতে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে আলু প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে বেলারুশ বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে পারে।

সফররত বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার বলেন, বেলারুশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। কৃষি সেক্টরে যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কারিগরি সহযোগিতা, গবেষণা এবং ফুড প্রসেসিংয়ের মতো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এক সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বেলারুশ। বেলারুশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী। আগামী দিনে উভয়দেশেল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসকাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মিস. আরমিডা এর সঙ্গে বৈঠক করেন।


ঢাকা/হাসনাত/সাইফ