ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ চান ব্যাংকাররা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ চান ব্যাংকাররা

ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়নে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ শতাংশের বেশি সুদে আমানত গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যাংকাররা। ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই তা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিল তারা।

মেয়াদী স্কিম ছাড়া সব ধরনের আমানতের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। তবে যেসব আমানতের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার রাতে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে এসব বিষয়ে তারা একমত হন। রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা জানান, ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংকগুলোকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। ঋণের সুদহার কমাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য এবিবির বৈঠকে আমানতের সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছেন এমডিরা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর হবে। মেয়াদী আমানতের (এফডি) মেয়াদ তিন মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত হলেও সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। তবে সর্বনিম্ন সুদের বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যাংক নিজেদের সামর্থ্য ও সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বনিম্ন সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত স্প্রেড (ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান) মানতে হবে।

সব ব্যাংক একসঙ্গে সুদহার কমালে আমানতের সুদ কমানো সম্ভব বলে জানান তারা।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, বর্তমানে ব্যাংক খাতে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকার আমানত রয়েছে, এর বড় অংশই মেয়াদী। ৬ শতাংশ সুদে মেয়াদী আমানত নিলে এর সঙ্গে তহবিল ব্যবস্থাপনার খরচ রয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণের তহবিল ব্যবস্থাপনার খরচ বেশি। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর সম্ভব হবে না বলে তারা মনে করেন।


ঢাকা/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়