ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

৫জি ইকোসিস্টেমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায় এইসি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৩ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৫জি ইকোসিস্টেমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায় এইসি

৫জি ইকোসিস্টেমে আসিয়ান অঞ্চলে ‘লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন আসিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির (এইসি) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. আলাদিন ডি. রিল্লো।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত ‘হুয়াওয়ে সাইবার সিকিউরিটি ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার’ পরিদর্শনকালে তিনি এই আহবান জানান।

মঙ্গলবার হুয়াওয়ে-এর ঢাকা অফিস এই তথ্য জানিয়েছে।

ড. আলাদিন ডি. রিল্লো বলেন, ‘হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ যেন নিশ্চিত হয়, সে বিষয়ে সচেষ্ট আছি আমরা। যুৎসই অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে একটি কার্যকর ৫জি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার সক্ষমতা বিবেচনা করলে হুয়াওয়ের মতো বেসরকারিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ 

তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব দারুণভাবে আন্তঃসংযুক্ত এবং একীভূত। আমাদের সবার লক্ষ্যই এক। কাজেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমাদেরকে একসাথে কাজ করতে হবে। এর ব্যত্যয় কারো জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে না।’ 

প্রসঙ্গত, ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্ট ওয়াল্র্ড’ আত্মপ্রকাশ করবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে। এটি বিনির্মাণে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পখাতের ডিজিটাল রুপান্তর ত্বরান্বিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে উৎসাহ যোগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আসিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি।       

এইসি'র ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, ‘আসিয়ানে আমরা ডিজিটালাইজেশনের ওপর খুব জোর দিচ্ছি। আর সেটি করার জন্য আমাদের দরকার উপযুক্ত অবকাঠামো।’

তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামের নেতৃত্বে এবছর আমরা ৫জি চালু করার চেষ্টা করছি, যেটা ডিজিটাল রূপান্তর এবং বাজার একীভূতকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিত্তি।’

‘২০১৯ সালে আসিয়ানের ডিজিটাল অর্থনীতি প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এটি ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাজেই সরকার, ব্যবসা এবং সমাজের কাছে ডিজিটাল রূপান্তরটা কেবল একটি বিকল্প হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনীতি এবং ব্যবসায়িক ক্ষমতায়নের প্রশ্নে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।’     

আসিয়ান অঞ্চলে এখন ইন্টারনেট, ডিজিটাল, সামাজিক মাধ্যম এবং মোবাইলের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার প্রায় ৬৫%; ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় যা ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ দেশ এবং ক্ষেত্রে যেহেতু ‘ডাবল ডিজিট’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে কারণে ডিজিটাল খাতটি এখন বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।  এই সময় এখানে সাইবার সুরক্ষা বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। কারণ, এ অঞ্চলে নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি এবং সামনে এটি আরো বাড়তে থাকবে।  


ঢাকা/হাসান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়