ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পথ জানা নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ৮ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পথ জানা নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের

বিশ্বব্যাপী চলছে মহামারি করোনা। দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। তাই এর সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি মার্কেট-শপিং মলও বন্ধ। এদিকে ঘনিয়ে আসছে রোজা। আসছে রোজার ঈদও। কিন্তু করোনায় সব কিছু বন্ধ থাকায় প্রমাদ গুনছেন রাজধানীর ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায়ীরা। কোন পথে যাবেন—সেই পথও জানা নেই তাদের।

বুধবার ( ৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট, বঙ্গবাজার, মিরপুরের বেনারসি পল্লীর কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে তাদের আশঙ্কার কথা জানা গেছে।

জানতে চাইলে মিরপুরের বেনারসি পল্লীর ‘পরশমনি সাড়ীজ’-এর বিক্রেতা মোহাম্মদ হামিদ হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে দেশে এখন খুব খারাপ  সময় যাচ্ছে। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাসায় অবস্থান করছি। দোকান কবে খুলতে পারবো, তারও কোনো ভরসা  পাচ্ছি না।’

হামিদ হোসেন আরও বলেন, ‘সামনেই রোজা। কিছু দিন পরই ঈদ। অন্যান্য বছর এই সময়ে শাড়ি তৈরির ধুম লেগে যেতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কর্মীদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি। কারণ তাদেরও তো জীবনের মায়া আছে। এই দুর্যোগের মধ্যে কর্মীদের দিয়ে তো কাজ করানো ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন,  ‘এবারের ঈদে আমাদের ব্যবসা মোটেও ভালো হবে না। আর  যে অবস্থা দেখছি, তাতে মনে হয়, ঈদেও দোকান-মার্কেট বন্ধ থাকতে পারে।’

বেনারসি পল্লীর ‘হানিফ সিল্ক’-এর কর্মী মোহাম্মদ রহিম মিয়াও একই তথ্য জানালেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দোকান বন্ধ আছে। জানি না—কবে খুলবে। অনেক বড় লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছি আমরা।’

নিউমার্কেটের এস এম ফ্যাশনের মালিক মুহাম্মদ রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেকবারই বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে একটা পরিকল্পনা করি।  কিন্তু এই বছর রোজার ঈদ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করতে পারছি না। করোনার কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ আছে। আমি খুব শঙ্কিত এই অবস্থায়। গত কয়েকদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় বড় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। দোকান ভাড়ার টাকা দিতে হবে। কিন্তু পণ্য বিক্রিত করতে না পারলে কিভাবে দেবো?’

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘আমার দোকান খুব ছোট। খুব বেশিদিন হয়নি দিয়েছি। মোটামুটি ভালোই চলছিল। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম সামনের ঈদে প্যান্ট, শার্ট বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে আনা যাবে। কিন্তু সব কিছু এখন ধোঁয়াশা লাগছে। দোকান ভাড়াটাও এখন বাবার কাছ থেকে এনে দিতে হচ্ছে।’

সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘সরকার এই পরিস্থিতিতে সবার জন্য নাকি প্রণোদনা প্যাকেজ করেছে। কিন্তু আমাদের জন্য কিছুই করবে না?’ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারি প্রণোদনার দাবি জানান তিনি।


ঢাকা/হাসিবুল/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়