ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রণোদনা প্যাকেজ পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে: আসিফ ইব্রাহিম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ১০ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রণোদনা প্যাকেজ পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে: আসিফ ইব্রাহিম

ছোট-বড় ব্যবসা-শিল্পে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষিত এ প্যাকেজটি যথেষ্ট সময়োপযুগী, আশাব্যঞ্জক ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। এ মুহূর্তে দেশের দু’টি পুঁজিবাজারই বন্ধ আছে, প্রণোদনা প্যাকেজটি বাস্তবায়ন হলে পুজিঁবাজার খোলার পর বাজারে এই প্যাকেজের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। তবে এ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিএসই’র চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৫ এপ্রিল জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং সমগ্র স্টেকহোল্ডার মনে করে, ঘোষিত এ প্যাকেজটি যথেষ্ট সময়োপযুগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।

স্যেশাল সেফটিনেটের আন্ডারে (আওতায়) হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে টাকা পৌঁছানো এবং ১০ টাকা মূল্যে এক কেজি চালের বন্দোবস্ত করার ঘোষণাকে আমরা মনে করি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত এবং সময়ের দাবিদার একটি পদক্ষেপ। কেননা, এই মহাদুর্যোগের সময় এই হতদরিদ্র মানুষগুলোর দৈনন্দিন কর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং হবে।

এছাড়াও আমরা মনে করি যে, সমপ্রসারণকারী মুদ্রানীতির যে ঘোষণা এই প্রণোদনা (স্টিমুল্যাস) প্যাকেজে আছে, তাতে করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এজন্য অভ্যন্তরীন চাহিদা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। যেন মানুষের পারচেসিং পাওয়ার (ক্রয়ক্ষমতা) আরও বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বৃহৎ শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা ৪.৫০ শতাংশ হার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৪ শতাংশ হার সুদে একটি ঋণের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যথেষ্ট লাভবান হবে, বাকি ৯ শতাংশ হারে ইন্টারেস্ট বার্ডেন সরকার শেয়ার করবে। ব্যাংকের জন্য একটি যথেষ্ট ভালো সুযোগ হবে বলে আমরা আশা করি। ইডিএফ ৩.৫ বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি করে ৫ বিলিয়ন করা হয়েছে, যাতে রপ্তানিকারকরা কিছু সুবিধা পাবেন। পূর্ব জাহাজীকরণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ৭ শতাংশ হারে একটি স্কিম রয়েছে, যা একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।

সামগ্রিকভাবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ নেওয়া হয়েছে, সেটা সত্যিই আশাব্যঞ্জক উদ্যোগ। আমরা মনে করি, এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই মুহূর্তে ঋণগুলো দেওয়া প্রয়োজন। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে তাদের কর্মচারীদের বেতন প্রদান এবং চলতি মূলধনের জন্য এই ঋণ দ্রুত গতিতে তাদের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে সরকারি ও বেসরকারি জনবল সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে।’

পুঁজিবাজারের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ মুহুর্তে দেশের দুটি পুঁজিবাজারই বন্ধ আছে। আমরা আশা করছি যে, এই প্রণোদনা প্যাকেজটি কার্যকর হলে, যখন পুজিঁবাজার তার কার্যক্রম শুরু করবে তখন এর পজিটিভ (ইতিবাচক) প্রভাব দেখতে পাবে। সর্বশেষে, প্রধানমন্ত্রীর এই সময়োপযুগী প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রদান করায় আন্তরিক সাধুবাদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’


ঢাকা/এনটি/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়