ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিদায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১৪ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিদায়

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনে তার চার বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  এদিন তিনি শেষ অফিস করে বিদায় নিয়েছেন বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের পদ ফাঁকা হওয়ায় নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সু‌্যরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও সাধারণ বিমা করপোরেশনের (এসবিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে অর্থমন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে সাধারণ ছুটির মধ্যেই চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনকে বিদায় নিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বুধবার (১৩ মে) বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন রাইজিংবিডিক বলেন, ‘আমার চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। আগের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে কাজে যোগদান করবো।’

এম খায়রুল হোসেন এতদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে অধ্যাপনা থেকে ডেপুটেশন নিয়ে বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডেপুটেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আগের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করবেন। এর ফলে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও ৩ কমিশনারসহ মোট ৪টি পদ ফাঁকা রয়েছে। বর্তমানে বিএসইসিতে কমিশনার খন্দকার কামালুজ্জামান দায়িত্ব পালন করছেন। এতে বিএসইসিতে কোরাম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

২০১০ সালের পুঁজিবাজারে ধসে পর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিএসইসিকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১৫ মে বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন। তিনি প্রথমবার ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পান। এরপর আবারও তিনি ৪ বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ পান। সর্বশেষ তাকে আরও ২ বছরে জন্য নিয়োগ দেয় সরকার, যার মেয়াদ ১৪ মে শেষ হচ্ছে। এভাবেই এম খায়রুল হোসেন তিন দফায় ৯ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।

 

ঢাকা/এনটি/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়