ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কারখানা মালিকরা মিথ্যাচার করছে: প্রজ্ঞা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২৯ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কারখানা মালিকরা মিথ্যাচার করছে: প্রজ্ঞা

নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করতে বাজেট ঘোষণার আগে বিড়ি মালিক ও সুবিধাভোগী বিড়ি শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে দাবি করেছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ বলছে, কারখানা মালিকদের দাবি বাংলাদেশে বিড়ি শ্রমিকের সংখ্যা ২০ লাখ।  অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গবেষণা বলছে এই সংখ্যা ৪৬ হাজার।

শুক্রবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব তথ্য উপস্থাপন করে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে।

সংগঠনটি বলছে, বিড়ি কারখানার মালিকরা দাবি তোলেন বিড়ির কর বাড়ানো হলে দেশের বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং ২০ থেকে ৩০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে যে কাল্পনিক তথ্য তারা বছরের পর বছর দিয়ে থাকেন, তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

অথচ এনবিআর ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘দি রেভিনিউ অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম অব বিড়ি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পে কর্মরত নিয়মিত, অনিয়মিত এবং চুক্তিভিক্তিক মিলিয়ে পূর্ণসময় কাজ করার সমতুল্য শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ৪৬ হাজার ৯১৬ জন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বিড়ির কার্যকর মূল্য বৃদ্ধির জন্য সম্পূরক শুল্কের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করার সুপারিশ করা হয়েছে।  বিড়ির কর ও মূল্য কার্যকরভাবে বৃদ্ধি করা হলে, কয়েক লাখ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিড়ি ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যুরোধ করা সম্ভব হবে।  বিড়ি থেকে রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে দ্বিগুণেরও বেশি। বাড়তি রাজস্ব দিয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।

সরকারিভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে ৭৮.৪ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক এই ক্ষতিকর পেশা ছেড়ে দিতে চায় বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।

তামাকবিরোধী সংগঠনটির সুপারিশের মধ‌্যে রয়েছে- বিড়ির সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা এবং অর্জিত বাড়তি রাজস্ব দিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা; বিড়ির ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক/এক্সাইজ ট্যাক্স এর একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ করা; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং এনবিআরের যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে যেসব জেলায় বিড়ি কারখানা রয়েছে সেখানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান অনুসন্ধান করা ইত‌্যাদি।


ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়