ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি শহীদ উল্লাহ স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৪, ৬ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি শহীদ উল্লাহ স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার

বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাৎ করে ব্রোকারেজ হাউজ গুটিয়ে লাপাত্তা হওয়া ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শহীদ উল্লাহ, তার স্ত্রী নিপা সুলতানাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুজন হলেন—মো. খোরশেদ ও মো. জুয়েল।

সোমবার (৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর- নোয়াখালী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ।

এসব তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

এদিকে, পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ নিয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।'

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় কিছু ভিআইপি ব‌্যক্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ পেয়েছে ডিবি। ফলে বিষয়টি কিছুটা জটিল আকার ধারণ করেছে।

গত ২৫ জুন রমনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারী হাজী মো. নিশাত। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আরো দুটি মামলা দায়ের করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

হাজী মোহাম্মদ নিশাতের দায়ের করা জিডিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘পূর্ব পরিচিতি ও পরিচয়ের সূত্র ধরে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের সঙ্গে শেয়ার ও নগদ টাকা লেনদেন করি। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমাদের টাকা পরিশোধ না করে নিজেরাই তা উত্তোলন করে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ। এছাড়া, আমাদের কারো কারো কাছ থেকে নগদ টাকাও ঋণ নিয়েছেন ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি শহীদ উল্লাহ।’

জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমার বিও হিসাব থেকে ৩ লাখ টাকা এবং ঋণ হিসেবে চেকের মাধ্যমে ৯৫ লাখ টাকা নেন শহীদ উল্লাহ। এছাড়া, সাজ্জাদ হোসেনের দুটি বিও হিসাব থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকা; জাহাঙ্গীর আলমের বিও হিসাব থেকে ১৫ লাখ টাকা; নাছিমা আক্তারের বিও হিসাব থেকে ২২ লাখ টাকা; শহীদ উল্লাহর বিও হিসাব থেকে ১১ লাখ টাকা; সুব্রত কুমারের কাছ থেকে চেকের মধ্যে ১৬ লাখ টাকা; সোহেল আহমেদের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা; আমিনুর রহমানের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা; রাহাত তানভীরের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা; জাকির হাওলাদারের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা এবং নাজির আহমেদের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছেন শহীদ উল্লাহ।

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে প্রায় ২১ হাজার বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব রয়েছে। বর্তমানে তাদের শেয়ারের বাজার মূল্য ৮২ কোটি টাকা। কিন্তু শুধু ব্রোকারেজ হাউজটি না খোলায় বিনিয়োগকারীদের কী পরিমাণ শেয়ার ও টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই দ্রুত ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের সব শাখা খুলে ব্যাক অফিস সার্ভার থেকে লেনদেনের তথ্য নিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

 

 

ঢাকা/এনটি/নূর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়