ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এটিবিতে বিনিয়োগ করা উচিত’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এটিবিতে বিনিয়োগ করা উচিত’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং অধিক সম্পদশালী ব্যক্তিদের অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা উচিত৷

তিনি বলেন, এটিবিতে অনেক কোম্পানি থাকায় বিনিয়োগের বিকল্প বাড়বে বিনিয়োগকারীদের৷ মূলত যারা বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করতে পারবেন, তারাই এখানে বিনিয়োগ করবেন৷

বুধবার (১৫ জুলাই) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড বিধিমালা, ২০১৯ এর আওতায় বিএএসএম এবং ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত ‘বিকল্প ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) কার্যক্রম ও সম্ভাবনা’ এর ওপর এক অনলাইন ট্রেনিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এতে অংশগ্রহণ করেন বিএসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ইস্যুয়ার কোম্পানি এবং সিডিবিএল এর প্রতিনিধিরা৷

ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মাহবুবুল আলম বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এটিবি’র সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে উৎসাহিত না করাই ভালো৷ কারণ হলো এটিবিতে তালিকাভুক্ত ডেট ও ইক্যুইটি সিকিউরিটিজে ঝুঁকির পরিমাণ মেইন বোর্ডের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের চেয়ে অনেক বেশি৷ আর এই বোর্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকি বেশি থাকার কারণে শুধুমাত্র বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে। আর এই বোর্ড সফল করার জন্য এক্সচেঞ্জগুলোকে সক্রিয়ভাবে প্রচারণামূলক কার্যক্রম ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে৷

তিনি এটিবিতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ব্রোকারেজ কমিশন, লিস্টিং ফি এবং সিডিবিএল চার্জ কম ধার্য করার জন্য অনুরোধ করেন৷

বিএসইসি’র পরিচালক ও বিএএসএম এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ট্রেনিং প্রোগ্রামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার৷

রেজাউল করিম বলেন, রেগুলেশনস অনুযায়ী অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে ব্যবসায়ের সুবিধা পেতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ বা তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজের জন্য নির্দিষ্ট ফরমে এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে পারবে৷ এক্সচেঞ্জ এই জাতীয় আবেদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করবে৷

পরে প্যানেল আলোচনায় ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন পুঁজিবাজারে দেখা যায় যে, বিদ্যমান ইক্যুইটির বাজারের বাইরে, বিকল্প বাজার সৃষ্টির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে৷ যার মাধ্যমে এক্সচেঞ্জের লেনদেন এবং মুনাফা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে৷ অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড চালু হলে অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসবে৷

সেন্টার ফর ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরী বলেন, শেয়ারবাজার উন্নয়নের জন্য অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ৷ করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের সঙ্গে দেশের অর্থনীতি মন্দা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।  আর এই মন্দা থেকে মুক্তির উপায় হলো প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

 

ঢাকা/এনটি/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়