ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কক্সবাজারে ওয়ালটনের ‘ক্লিন সি, সেভ সি’ কর্মসূচি পালিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
কক্সবাজারে ওয়ালটনের ‘ক্লিন সি, সেভ সি’ কর্মসূচি পালিত

পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত হিসেবে যতটুকু পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ততোটুকু নয়। তার ওপর যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা ও চিপস ও খাদ্যদ্রব্যের উচ্ছিটাংশতে সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘ক্লিন সি, সেভ সি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বছরে বেশ কয়েকবার সুবিধাজনক সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কর্মসূচি পালন করে ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে দর্শনার্থী ও অন্যদের সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন করতে ও রাখতে উৎসাহিত করা হয়। বাড়ানো হয় সচেতনতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গেল ১৩ ফেব্রুয়ারির পর ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে সুগন্ধা হয়ে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে সচেতনতামূলক র‌্যালি করা হয়। সমুদ্র পরিস্কার রাখুন, সমুদ্রের নির্মল পরিবেশ বজায় রাখুন, সমুদ্র বাঁচান- এই শ্লোগান সম্বলিত লিফলেট সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন এ.বি.এম. ফজলে করিম এম.পি, সভাপতি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেনশনের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্যরা।

শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের এমন কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানান উপস্থিত সবাই। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে ওয়ালটনকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই।

এই কর্মসূচির বিষয়ে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা প্রতি বছরই নির্দিষ্ট কিছু সময়ে এই কর্মসূচি পালন করে থাকি। গেল ১৩ ফেব্রুয়ারির পর চলতি মাসেই দ্বিতীয়বারের মতো মঙ্গলবার এই কর্মসূচি পালন করি আমরা। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশি পর্যটক ও অন্যদের সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন করতে ও রাখতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। সবাইকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে জনসংযোগ করে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করি। যাতে সৃষ্টিকর্তার অনন্য এক দান আমাদের সবার প্রিয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আরো বেশি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরো বেশি আকৃষ্ট করে। ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।’

এই আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল- জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, বীচি ম্যানেজমেন্ট কমিটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা কক্সবাজার ও ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশন, কক্সবাজার।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়