ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৪ কোটি গ্রাহক ও ৪০০ কোটি টাকার ল্যান্ডমার্কে নগদ

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২০ এপ্রিল ২০২১  
৪ কোটি গ্রাহক ও ৪০০ কোটি টাকার ল্যান্ডমার্কে নগদ

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক সেবা ‘নগদ’ চার কোটি গ্রাহকের অপারেটর হিসেবে সম্প্রতি এই ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করেছে। একই সময়ে নগদের দৈনিক লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা পেরিয়েছে।

চলমান কোভিডের সময়ে সরকারি নানান ভাতা, উপবৃত্তি, আর্থিক সহায়তা বিতরণে ডিজিটালাইজেশনের প্রচলন করে ভাতাভোগীর হাতে সহজেই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি অর্থের সাশ্রয় করার মতো কাজ করেও সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নগদ’।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাটি উদ্বোধনের পর মাত্র দশ মাসে এক কোটি গ্রাহকের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করে ‘নগদ’। পরের এক কোটি গ্রাহক পেতে সময় লাগে মাত্র ছয় মাস। দুই কোটি থেকে তিন কোটিতে আসতে সময় লাগে আরও সাত মাস। আর শেষ এক কোটি গ্রাহক পেতে সময় লেগেছে দুই মাসেরও কম সময়।

গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য দেশের আর্থিক খাতে প্রথমবারের মতো ই-কেওয়াইসি চালু করে সাড়া ফেলে নগদ।  নগদের উদ্ভাবনী সব সেবার কারণে শুরু থেকেই লেনদেনের পরিমাণও বাড়তে থাকে আশানুরূপভাবে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রথম দিকে ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের মার্ক অতিক্রম করে ‘নগদ’।  ওই একই বছরের ডিসেম্বরে দৈনিক লেনদেনের অঙ্ক দ্বিগুণ হয়। গত মার্চে দৈনিক লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা এবং এক মাসের ব্যবধানে গত সপ্তাহে এটি ৪০০ কোটি টাকা পেরিয়েছে।

নগদের দ্রুতগতির অগ্রযাত্রাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং গ্রাহকবান্ধব সেবা চালু করার সফল সম্মিলন বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ‘নামমাত্র মূল্যে গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার যে চমৎকার উদাহরণ ডাক বিভাগের সেবা নগদ তৈরি করেছে, সেখানে সাফল্য আসাটা ছিল অবধারিত। শুরু থেকেই আমি নগদের ক্রমযাত্রা দেখে আসছি। মোবাইলফোনের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত সেবা পৌঁছে দেওয়ার যে উদাহরণ ‘নগদ’ তৈরি করেছে, সেটি সরকারের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার এক উৎকৃষ্টতম উদাহরণ। খুব অল্প সময়ে ‘নগদ’ দেশের এক নম্বর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন নগদের চমৎকার এই অর্জনে সেবাটির সঙ্গে জড়িত সকল কর্মী ও গ্রাহককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেবায় দেশে বিপ্লব ঘটানো অপারেটরের নাম নগদ। এত দ্রুততার সঙ্গে একটি সরকারি সেবার বিস্তৃতি আমাকে আগের চেয়েও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে যে, সরকারের দিন বদলের ভিশনে ‘নগদ’ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানেই থাকবে।’

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘প্রচলিত সব পরিষেবা যাতে নগদে পাওয়া যায় তার জন্য আমরা ‘সব হবে নগদ-এ’ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আর সে জন্য প্রতিদিনিই আমরা অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। *১৬৭# নম্বরে ডায়াল করে পিন সেট করার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা পৃথিবীর আর কোথাও না থাকলেও ‘নগদ’ সেটি সম্ভব করেছে। অথচ একসময় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে কত কিছুই না করতে হতো। উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার এই অগ্রযাত্রায় মাত্র দুই বছরের মধ্যে ‘নগদ’ ৪০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক ছুঁয়েছে এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের একটি সময়।’

নগদে সেন্ড মানি ফ্রি এবং সর্বনিন্ম ক্যাশ-আউট চার্জ ভ্যাটসহ হাজারে ১১ টাকা ৪৯ পয়সা (অ্যাপে), যা মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। দুই বছরের মধ্যে ১২ হাজার মার্চেন্টকে নগদ নেটওয়ার্কে যুক্ত করা, ৫০০ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সুবিধার কারণে কেনাকাটার লেনদেনে নগদ এখন সেরা পছন্দ। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও ইন্টারনেটসহ সবরকম পরিষেবার বিল প্রদান কোনোরকম বাড়তি খরচ ছাড়া শুধুমাত্র নগদে করা যায়। মোবাইলফোনে রিচার্জ এবং বিভিন্ন প্যাকেজ কেনা এখন নিমিষের ব্যাপার; সঙ্গে আছে ক্যাশব্যাকও।

গত বছর কোভিডে কাজ হারানো মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতা বিতরণ, এক কোটি মায়ের কাছে সন্তানের উপবৃত্তি বিতরণ করে ভাতা বিতরণ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন এনেছে নগদ। 

এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ৪৫ শতাংশ বিতরণ করবে নগদ।

ঢাকা/সুমন/আরিফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়