ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দেশের ১২০ স্থানে কর মেলা, শুরু ১৪ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৭ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশের ১২০ স্থানে কর মেলা, শুরু ১৪ নভেম্বর

দেশের সব বিভাগীয় শহরসহ ৬৪ জেলা ও ৫৬ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আয়কর মেলা-২০১৯।

আগামী ১৪ নভেম্বর মেলা শুরু হয়ে চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহরে সাত দিন, জেলা শহরগুলোতে চার দিন, ৪৮ উপজেলায় দুই দিন এবং আট উপজেলায় দিনব্যাপী করমেলা আয়োজন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

দেশের ১২০ স্থানে অনুষ্ঠিত হবে আয়কর মেলা। এবারের কর মেলার স্লোগান-‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর।’

রাজধানীতে মেলা হবে বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ওই দিনই রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে সেরা করদাতাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। যেখানে ১৪১ জন সেরা করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হবে।

ওই দিন সারা দেশে মোট ৫১৮ জনকে সেরা করদাতার সম্মাননা দেয়া হবে। এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার (কর প্রশাসন) রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এবার দেশের ১২০ স্থানে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারো করদাতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এবারের আয়কর মেলায় ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে বসে গুগলম্যাপে আয়কর মেলার স্পটে নাম লিখে সার্চ দিলেই করদাতাকে মেলার অবস্থান, দূরত্ব ও সময় বলে দেবে। ফলে করদাতাদের আয়কর মেলা প্রাঙ্গণ খুঁজতে বাড়তি সময় ব্যয় হবে না।

তিনি আরো বলেন, ‘এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে, করদাতারা অনলাইনে প্রবেশ করে আয়কর বিবরণীর ফরম পূরণ করে মেলায় এসে জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া আয়কর সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে।

জেলার বাইরে যে ৫৬ উপজেলায় আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়েছে- ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সাভার ও আশুলিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ভালুকা ও গফরগাঁও, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও মধুপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, পটিয়া ও লোহাগড়া, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জ, যশরের ঝিকরগাছা ও নওয়াপাড়া, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও কলাপাড়া, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম, এবং কক্সবাজারের চকরিয়া ও টেকনাফ।

এ ছাড়া লালমোহন (ভোলা), নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী), নলছিটি (ঝালকাঠি), কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ), ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া), মোংলা (বাগেরহাট), কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা), টুঙ্গীপাড়া  (গোপালগঞ্জ), বদরগঞ্জ (রংপুর), ফুলবাড়ি (দিনাজপুর), বোচাগঞ্জ (পঞ্চগড়), সৈয়দপুর (নীলফামারী), পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও), ছাতক (সুনামগঞ্জ), শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), চৌমুহনী  (নোয়াখালী), আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), নালিতাবাড়ী (শেরপুর), শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ), গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা), মহাদেবপুর (নওগাঁ), ভবানীগঞ্জ (রাজশাহী), ঈশ্বরদী (পাবনা), মাধবদী (নরসিংদী), রায়পুরা (নরসিংদী), সিংড়া (নাটোর), জাজিরা (শরীয়তপুর) ও ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)।

এনবিআর সূত্রে আরো জানা যায়, প্রতিবছরের মতো করদাতাদের জন‌্য এবারের মেলায়ও আয়কর বিবরণীর ফরম থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক ও বুথ থাকবে। একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলবে।

করদাতাকে শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে। মেলায় নতুন করদাতারা ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে পারবেন। এ ছাড়া ই-পেমেন্টের জন্য পৃথক বুথ থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য থাকবে আলাদা বুথ। গতবারের মতো এবারও মেলায় অডিও-ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে কর শিক্ষণ প্রদান করা হবে। কর সচেতনতা তৈরিতে এই কর শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকবে।

২০১০ সাল থেকে এনবিআর কর প্রদানে উৎসাহিত করতে আয়কর মেলা চালু করে। প্রথম দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ওই মেলা আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ে মেলা সম্প্রসারণ করা হয়।


ঢাকা/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়