ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পেঁয়াজের দাম কমেছে, তবে …

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১২, ৮ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পেঁয়াজের দাম কমেছে, তবে …

বাঙালির রান্নার অন‌্যতম অনুষঙ্গ পেঁয়াজ। কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ১৪০ টাকা করে। পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম ছিল আরো বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম একটু কমেছে বটে, তবে পেঁয়াজ এখনো দুর্মূল‌্য।

ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেখাচ্ছেন, পাইকারি আড়তে দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর রায়ের বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা গত সপ্তাহে ১৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন। এ সপ্তাহে ১২০ টাকা করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। 

সাইদুর রহমান নামে এক ব্যবসয়ী বলেন, পেঁয়াজের দাম সমানে আরো কমবে।

আসিফুজ্জামান নামে এক ক্রেতা বলেন, এটা দাম কমার মধ্যে পড়ে না। যেখানে ৩০/৪০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতাম, সেখানে পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছুঁয়েছে। এখন ১০/২০ টাকা কমে কী হবে? বাজার আগের মতো না হলে মানুষের ব্যয় সামঞ্জস্যতায় ব্যাঘাত ঘটবে।

এদিকে, বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। রায়ের বাজারে ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, লালশাক ও পুঁইশাক আঁটি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতা আসিফ হাসান কাজল বলেন, এভাবে বেশি দামে সবজি কিনতে গিয়ে আমাদের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। শীতকালে প্রচুর সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারে এসে মনে হচ্ছে, সবজি কেনাই হবে না।  অনেক কেনার ইচ্ছা হলেও দুই পদের সবজি কিনলাম।

যাত্রাবাড়ী মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ পাইকারি দরে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা ও খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে বেশি উঠেছে ইলিশ মাছ। এটি পাইকারিতে সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ও খুচরা বাজারে কেজি সাইজের ইলিশ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে বিক্রেতা মো. জুবায়ের বলেন, বাজারে ইলিশ মাছ বেশি আছে। শীত আসায় প্রচুর দেশি মাছও বাজারে উঠেছে। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে মাছ বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বরাবরের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা প্রতি কেজি।

মাংসের বাজার চড়া থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম বলেন, মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। পশুর হাটে চাঁদাবাজি করা হয়। মাংস বিক্রেতাদের গলা কেটে টাকা নেয়া হয়। আর মাংস বিক্রেতারা সাধারণ মানুষের গলা কেটে টাকা নেয়।

 

ঢাকা/নূর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়