ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পরামর্শক নিয়োগ হচ্ছে জাপানি অর্থনৈতিক জোনে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৪, ১৪ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পরামর্শক নিয়োগ হচ্ছে জাপানি অর্থনৈতিক জোনে

‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় পরামর্শক ফার্ম হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে জাপানের নিপ্পন কোই লিমিটেড।  এজন্য ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের মে মাসে জাপান সফর এবং একই বছর সেপ্টেম্বরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের জাপানি বিনিয়োগকারীদের  জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠানসহ বেশকিছু বিষয়ে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ২০১৪ সালের ২১ আগষ্ট বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘যৌথ বাংলাদেশ-জাপান পাবলিক প্রাইভেট ডায়ালগ’ এর প্রথম বৈঠকে উভয়দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থপানের জন্য ভূমি  অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।  এর মধ্যে ৫০০ একর ভূমির দখল বেজার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি  অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটি চলতি বছর ৫ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। জাইকা অর্থায়নের অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, রিটেনশন পুকুর ও পাম্পিং স্টেশন, গ্যাস পাইপলাইন সম্প্রসারণ ও গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। এসব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ডিজাইন, সুপারভিশন মনিটরিং করার জন্য পরামর্শক সেবা গ্রহণের সংস্থান রয়েছে। অনুমোদিত ডিপিপির  আওতায় বাস্তবায়ন পর্যায়ে গুণগতমান ও পরিমাণ  পরিবীক্ষণের মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ পরামর্শক সেবা গ্রহণ করা হবে।

চলতি বছর জুন মাসে দেশটির সুমিতমো করপোরেশন আড়াইহাজারে জাপানি ইকোনমিক জোন স্থাপনে বেজার সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করেছে।  সংস্থাটি ২০২০ সালের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলটির কার্যক্রম শুরু করতে চায়।

বেজার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চারটি প্রস্তাবের মধ্যে নিপ্পন কোই প্রথম স্থান অধিকার করে অর্থাৎ সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়। বেজা জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোই লিমিটেডকে দিতে হবে ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

তবে বেজার প্রস্তাবিত জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য পরামর্শক খরচ থেকে নিপ্পন কোই লিমিটেডকে ভ্যাট ট্যাক্স ছাড়া ২৮ হাজার ১৪ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।  অন্য তিনটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল।  তারা হচ্ছে ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড, ডিপিসি গ্রুপ, টাইগ্রিস কনসালটিং পিএলই লিমিটেড।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আপাতত নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ৫৪০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।  পরে তা এক হাজার একরে উন্নীত করা  হবে।  অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিচালনার জন্য যে কোম্পানি হবে সেখানে সুমিতমোর অংশ হচ্ছে ৭৬ শতাংশ।  বাকি ২৪ শতাংশ হিস্যা থাকবে বেজার হাতে।

নিপ্পন কোই লিমিটেড জাপানের এক নম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। জাপানি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটি গত ৭০ বছর ধরে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।  এখন নিপ্পন কোই বিশ্বের ১৬০টি দেশের ৫ হাজার ৫০০টি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে।

এক বছর আগে নিপ্পন কোই সাবসিডিয়ারি কোম্পানি নিপ্পন কোই বাংলাদেশ দেশের জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করে। নিপ্পন কোই গত এক বছর বাংলাদেশের ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এ সংক্রান্ত একটি ক্রয়প্রস্তাব বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।  অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

 

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়