ক্রেতা নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি। সাধারণ ছুটি শেষে শপিংমল, মার্কেট সীমিত পরিসরে চালু হলেও ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। এতে হতাশ ব্যবসায়ীরা।
সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, গাউসিয়া, আজিজ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, মিরপুর-১০ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
পোশাকের শোরুম ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মার্কেটেই ক্রেতার দেখা মিলছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন বেচাকেনা অনেক কম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দোকানগুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগ হাওলাদার বলেন, মার্কেট খোলার আগেই ধারণা করেছিলাম ক্রেতা তেমন হবে না। কিন্তু তারপরও যে আশা করেছি তার অর্ধেক ক্রেতাও মার্কেটে আসছে না।
তিনি বলেন, মানুষের মাঝে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবার মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এছাড়া হাতে নগদ টাকা না থাকায় বেশির ভাগ মানুষ কেনাকাটা থেকে বিরত রয়েছেন।
আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, মার্কেটের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাপমাত্রা মেপে ক্রেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের সমাগম খুবই কম।
আজিজ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে পহেলা বৈশাখ ও ঈদের মৌসুমে বিক্রি একেবারেই হয়নি। এখনো ক্রেতা তেমন আসছে না। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে থেকেই মার্কেট ও শপিংমলগুলো খুলে দেওয়া হলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম।
বসুন্ধরা শপিংমলের ইনচার্জ শেখ আব্দুল আলীম বলেন, ১২ জুন থেকে শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। সবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডিজইনফেকসনাল টানেল বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের শপিংমলের ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। ক্রেতারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেন সেই বিষয়েও বলা হয়েছে। প্রতিটি দোকানে জীবাণুনাশক স্প্রে রাখতে বলা হয়েছে। ক্রেতারা আসলেই যেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালো করে হাত জীবাণুমুক্ত করে সে বিষয়েও বলা হয়েছে।
যমুনা ফিউচার পার্কে আড়ংয়ের ইনচার্জ মোহাম্মদ সায়মন রহমান বলেন, বিক্রি প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কাস্টমার পাচ্ছি আমরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আউটলেট খোলা রাখা হচ্ছে।
হাসিবুল/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন