ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক কোম্পানি লাভবান হবে’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৯ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক কোম্পানি লাভবান হবে’

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ ও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। এতে সরকার ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে এবং তামাক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে।

শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেছে তামাকবিরোধী ১৮টি সংগঠন।

তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো হলো—এইড ফাউন্ডেশন, আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা), বিসিসিপি, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), ঢাকা আহসানিয়া মিশন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন, প্রজ্ঞা, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র), তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ), টোব্যাকো কন্ট্রোল অ‌্যান্ড রিসার্চ সেল, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এবং ইপসা।

বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপের লক্ষ্য হিসাবে ‘তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি’ বলে উল্লেখ করলেও এ দুটি লক্ষ্যের একটিও অর্জন সম্ভব হবে না। বরং ক্রয় সামর্থ্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির তুলনায় তামাক পণ্যের দাম কম বাড়ায় তামাকের ব্যবহার বাড়বে। এই করোনা পরিস্থিতিতে তামাকের ব্যবহার বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। কারণ, তামাকসেবীর করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা ১৪ গুণ বেশি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য গবেষকগণ।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর সুপারিশ অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর নির্ধারণ, সুনির্দিষ্ট কর আরোপ এবং সিগারেটের মূল্যস্তর চারটির পরিবর্তে দুটি নির্ধারণ করা হলে ২০ লক্ষ ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দেবে এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে ৬ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা হবে এবং প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।


ঢাকা/শাহ আলম/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়