ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘এই বাজেটে পজিটিভ প্রবৃদ্ধি হবে না’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ২০ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘এই বাজেটে পজিটিভ প্রবৃদ্ধি হবে না’

‘২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার গতানুগতিকভাবে কেবল জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছে। কারোনা ইস্যুকে সেভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি তো দূরের কথা, পজিটিভ প্রবৃদ্ধিও হবে বলে মনে হয় না।’

শনিবার (২০ জুন) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ভার্চুয়াল বাজেট সংলাপে এসব কথা বলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বলছে, সরকার এখনই ধার-দেনা করে চলছে। এভাবে চললে আগামী ৬ মাস পর অর্থ সংকটে পড়বে সরকার। ফলে বাধ্য হয়ে টাকা ছাপিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিতে হবে। এটা হবে দুর্ভাগ্যজনক। এ সময় এখনো আসেনি, কিন্তু সে সময় বেশি দূরে নয়।’

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে এবার ধারাবাহিকভাবে বার্ষিক বাজেট দেওয়াটাই ছিল অযৌক্তিক। এর কোনো দরকার ছিল না। বরং ৬ মাস অন্তর অন্তর দুটি বাজেট করা উচিত ছিল। এর মধ্যে প্রথম ৬ মাস করোনা মোকাবিলায়, পরের ৬ মাস করোনা পরবর্তী করণীয়কেন্দ্রিক করা উচিত ছিল। কিন্তু প্রবৃদ্ধি অর্জনকেন্দ্রিক বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। করের পরিধি বাড়ানোর জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দুই ভাগে ভাগ করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু সরকার তা করেনি। এনবিআরের কাঠামোকে সংস্কার করতে বলেছিলাম। তা বাস্তবে করা হয়নি। ফলে রাজস্ব আদায় হয়নি। সামনেও আদায় সম্ভব না। এ কারণেই সরকারকে অর্থ সংকটে পড়তে হতে পারে।

ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা থাকতে পারে, এ আশঙ্কা ব‌্যক্ত করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘করোনার কারণে ৬-৯ মাস সময় ধরে যারা বেকার রয়েছেন তাদের বেঁচে থাকার জন্য ৩-৫ হাজার টাকা করে বিশেষ ফান্ড দেওয়া যেত। সেটা করা হয়নি। বাজেটে কারোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের লাইফ সাপোর্ট, স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার ও বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে যোগ্য ও সঠিক লোকদের দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ম্যানেজমেন্ট করা উচিত। এখনো করোনা আক্রান্ত মানুষ গাড়ি ও রাস্তায় মারা যাচ্ছে। আমরা ৪ থেকে ৫ মাস সময় অতিবাহিত করেছি। সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

তিনি ব্যাংক খাত প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনার কারণে ব্যাংকগুলোতে এখনো মন্দ ঋণ রয়ে গেছে। এনপিএলের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। কোথাও এটা তিন গুণ হয়েছে। এটা অপ্রত‌্যাশিত। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে। এটা থামাতে হলে আগে ব্যাংককে বাঁচাতে হবে। সরকাররি ব্যাংকগুলোর মতোই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণের পরিমাণ যদি ৩০-৪০ শতাংশ হয়ে যায় তবে এটা দেশের ব্যাংক সেক্টরের জন্য মঙ্গল হবে না।’

 

ঢাকা/শাহ আলম/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়