ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সময়মতো লবণ না দেওয়ায় কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে: বাণিজ‌্য সচিব

শাহ আলম খান  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ৪ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
সময়মতো লবণ না দেওয়ায় কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে: বাণিজ‌্য সচিব

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অসতর্কতার কারণেই কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন বাণিজ‌্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘পশুর শরীর থেকে চামড়া ছাড়ানোর ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী লবণ মেশাতে হয়। মৌসুমি ব‌্যবসায়ীদের এই সময় জ্ঞান ছিল না।  তাই, চামড়া পচনের কবলে পড়েছে।’ মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাইজিংবিডিডটকমের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এসব কথা বলেন। 

বাণিজ্য সচিব বলেন, মৌসুমি ব‌্যবসায়ীরা সাধারণত কোরবানিদাতার কাছ থেকে চামড়া কেনেন।  এরপর ধারেকাছের বেপারি-আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করেন। আড়তে সেই চামড়া হস্তান্তর হওয়া মাত্রই লবণজাত করে সংরক্ষণ করা হয়।  কিন্তু সময়মতো চামড়া পৌঁছাতে না পারলে নষ্ট হয়।  এক্ষেত্রে ৫-৬ ঘণ্টার জায়গায় ১৮-৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে ওই চামড়া ভালো থাকবে কী করে?’ 

আড়ৎদারদের গড়িমসির কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘এমন অভিযোগ ঠিক নয়। আড়ৎকেন্দ্রিক কেনাবেচা পরিস্থিতি প্রশাসনের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে ছিল। ভালো চামড়া কেনাবেচায় কোনো সমস্যা হয়নি।  জেনে-শুনে কেউ পচা চামড়া কিনবে না।’  

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ‌্য সচিব বলেন, ‘চামড়া নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া, মাটিচাপা দেওয়া কিংবা প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ প্রশ্নবিদ্ধ। লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কেউ এভাবে নিজের টাকা নষ্ট হতে দিতে পারেন না।’

মৌসুমি ব‌্যবসায়ীদের কেনা দামের চেয়ে আড়তে দাম কম প্রসঙ্গে বাণিজ‌্য সচিব বলেন, ‘সরকার লবণজাত চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।  কাঁচা চামড়ার নয়। লবণজাত চামড়ায় বাড়তি খরচ আছে।  এখন লবণজাতের দাম তো কাঁচা চামড়ায় চাইতে পারেন না।  এ সমস্যাও সবার নয়।  না জানার কারণে কারও কারও ক্ষেত্রে এমন সমস‌্য হতে পারে।’

দাম নির্ধারণ-প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি বলে আড়ৎদারদের তোলা অভিযোগ বিষয়ে জাফর উদ্দীন বলেন, ‘যারা এমন কথা বলছেন, তারা না জেনেই বলছেন। আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ চাহিদা ও দেশীয় বাস্তবতাকে মানদণ্ড ধরে চামড়া সংশ্লিষ্ট সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনার পর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’ 

চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সম্পর্কে বাণিজ‌্য সচিব বলেন, ‘কোরবানি পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পশুর শরীর থেকে সতর্কভাবে চামড়া ছাড়ানো। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লবণজাত করা।  এ বিষয়ে ধারণা দিতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমেও নিয়ম-কৌশল প্রচার করা হয়েছে।’ 

বাণিজ‌্য সচিব আরও বলেন, ‘অর্থের সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। এতে পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করাসহ যেকোনোও সমস্যার সমাধান পেতে যোগাযোগের নাম্বারও দেওয়া হয়েছে।’ যারা যোগাযোগ করেছেন, তাদের কোনো সমস্যা হয়নি বলেও তিনি মন্তব‌্য করেন।

শাহ আলম খান/এনই
 

রাইজিং বিডি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়