পাটকল পুনঃচালু করতে যা বললেন তারা
কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম
বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটগুলো পুনঃচালু করতে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দ্রুত উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব, এমন পাটকল চিহ্নিত করা হবে আগে। আর নির্বাচিত পাটকলগুলো চালু হলে তাতে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইতোধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলোর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে সম্প্রতি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, বস্ত্র ও পাটসচিব, অর্থসচিব, বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, বিজেএমসি, বিজেএসএ-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কিভাবে পাটকলগুলো দ্রুত চালু করা যায়, সে বিষয়ে সভায় পরামর্শ চান সভায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। এ সময় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘পিপিপি অথবা জয়েন্ট ভেঞ্চার পদ্ধতিতে মিলগুলো পুনঃচালুর বিষয়ে বিবেচনা করা যায়। এছাড়া কয়েকটি মিলের অবস্থান, যন্ত্রপাতির ধরন ও মান বিবেচনায় মিলগুলোকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে।’
অর্থ সচিব বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই মিলের জমি বিক্রয় করা যাবে না। প্রয়োজনে ইজারার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।’ নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি মিলগুলো পুনঃচালুর ক্ষেত্রে তুলনামূলক তরুণ ও কর্মক্ষম শ্রমিকদের পুনঃনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘মিলগুলোর আকার, প্রকৃতি ও যন্ত্রপাতির অবস্থানভেদে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।’ একইসঙ্গে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শিল্প সচিব বলেন, ‘মিলের নিয়ন্ত্রণে থাকা অব্যবহৃত জমির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই লক্ষ্যে একাধিক সাব-কমিটি গঠন করা যেতে পারে।’
সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব কার্যপরিধির আলোকে নীতি-নির্ধারণী কমিটির বিবেচ্য বিষয়ে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, যন্ত্রপাতি কার্যক্ষমতা সংরক্ষণ, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও পাটপণ্যের বিদ্যমান বাজার ধরে রাখার স্বার্থে প্রাথমিকভাবে বন্ধ ২৫ পাটকলের মধ্যে দ্রুত পুনঃচালু করা সম্ভব, এমন পাটকল চিহ্নিত করতে হবে। সরকারি মালিকানা ও স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে চিহ্নিত পাটকল পুনঃচালু করতে উপযুক্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে।
এছাড়া সভায় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণ, বিক্রয় ও হস্তান্তর নিয়েও আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ জুলাই দেশের সর্বশেষ ২৫টি পাটকল বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।
হাসনাত/এনই
রাইজিং বিডি
আরো পড়ুন