ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে কেইসি

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ১২ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে কেইসি

নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতু

পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি)। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়া, আড়িয়াল খাঁ নদী ড্রেজিংয়ের একটি প্রস্তাব শর্ত সাপেক্ষে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১২আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ দুই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

সভা শেষে আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর এর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তা ও ব্রিজ ব্যবহারসহ পার্কিংয়ের জন্য টোল দিতে হয়। টোলের অর্থে রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু সেদিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশে কিছু কিছু জায়গায় টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকলেও তা পুরাতন পদ্ধতি। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, ভোগান্তি কমিয়ে রাজস্ব বাড়াতে। এজন্য পদ্মা সেতুর টোল আদায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তারা অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় টোল আদায় করবে।’

তিনি জানান, সভায় ‘মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ প্রকল্পের (নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ ৬.৩ কিলোমিটার এবং খনন/নদী ড্রেজিং ১৫.৫ কিলোমিটার) কাজগুলো রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ-২০০৬ এর ধারা  ৬৮(১) ও পিপিআির-২০০৮ এর বিধি৭৮ (১) অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসররণর নীতিগত অনুমোদন চেয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কিন্তু একনেকে অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে প্রস্তাবিত ব্যয় বেশি হওয়া তা সরাসরি অনুমোদন না দিয়ে দুটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম শর্ত—একনেকে অনুমোদিত ব্যয়ের বেশি হতে পারবে না। রিভিশনের জন্য আবার একনেকে পাঠানো যাবে না। দ্বিতীয় শর্ত—এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯ কোটি ৯০ লাখ ২১ হাজার টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়