ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকিতে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:০২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকিতে’

কোভিড মহামারির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ৪০ শতাংশই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক কর্মশালায় ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ এ দাবি করেন। ডিসিসিআই এবং ফ্রেডরিক ন্যুমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ডিসিসিআই পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এমন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪০ শতাংশই মনে করছেন, কোভিড মহামারির কারণে তাদের ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাপ্লাই চেইনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত জিডিপিতে ৩২ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় ২.৪৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এসএমই কম্পিটিটিভনেস আউটলুকের তথ্য মতে, লকডাউনের কারণে ২০২০ সালে বৈশ্বিক রপ্তানিতে ১২৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে, যার প্রভাব পড়বে আমাদের উদ্যোক্তাদের ওপর।

এফএনএফ বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়কালে স্থানীয় ও বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। কনসালটেন্ট এবং করপোরেট ট্রেইনার শংকর কুমার রয় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন।

শংকর কুমার রয় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সিএমএসএমই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে দক্ষ জনবল, পুরোনো প্রযুক্তি, প্রয়োজনীয় তথ্যের অপর্যাপ্ততা, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা এবং শুল্ক বৈষম্যের কারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থাপনায় সাপ্লাইচেইনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে, পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি করা সম্ভব। আয়োজিত কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন।

এম এ রহমান/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়