ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তিন মাসে বিদ‌্যুতে লোকসান ২ হাজার কোটি টাকা 

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ১১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৫:১৭, ১২ অক্টোবর ২০২০
তিন মাসে বিদ‌্যুতে লোকসান ২ হাজার কোটি টাকা 

চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসে  ইন্ডিডেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি), কুইক রেন্টাল ও ভারত থেকে বিদ‌্যুৎ কিনে দেশের চাহিদা মিটিয়েছে বিদ‌্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এই ৩ খাত থেকে বিদ‌্যুৎ কিনতে গিয়ে পিডিবির লোকসান প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।  এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ভর্তুকি চেয়েছে সংস্থাটি।  সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ও এই টাকা ছাড় করেছে।  

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতি তিন মাস পরপর পিডিবর পক্ষ থেকে ভর্তুকি অর্থ চেয়ে আবেদন করা হয়। এই আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অর্থ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে।’

পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে পিডিবির লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।  

এরমধ‌্যে মার্চ মাসে আইপিপি থেকে বিদ্যুৎ কেনায় ৪৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ভাড়া কুইক রেন্টাল থেকে কেনায় ১৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ও ভারত থেকে আমদানিতে খরচ হয়েছে ৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

একইভাবে এপ্রিল মাসে খরচের পরিমাণ এই তিনখাত থেকে যথাক্রমে  ৪২৩ কোটি ৮৮ লাখ, ১৩৫ কোটি ৬৮ লাখ এবং ৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা 

মে মাসে গুনতে হয়েছে যথাক্রমে ৫০১ কোটি ৪৩ লাখ, ১২৫ কোটি ৩২ লাখ এবং ৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

বিদ্যুতের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে পিডিবি বলছে, বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় নির্ভর করে ব্যবহৃত জ্বালানির ব্যবহার, গ্যাসের মূল্য, টাকার অবমূল্যায়নের ওপর। 

উল্লেখ‌্য, দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তা এককভাবে কিনে নেয় পিডিবি। এরপর পিডিবি তা দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। ওই সংস্থাগুলো সারা দেশের গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সংস্থাগুলো প্রতি মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা বিলের অর্থ পিডিবির কাছে জমা দেয়। সেই টাকা থেকে সরকারি ও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর পাওনা মেটানো হয়।

ঢাকা/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়