ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ডিএসইতে ওপেনিং ও ক্লোজিং সেশন চালু নভেম্বরে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০১, ২৯ অক্টোবর ২০২০  
ডিএসইতে ওপেনিং ও ক্লোজিং সেশন চালু নভেম্বরে

স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত ২৫ মিনিট শেয়ার কেনা-বেচা ও লেনদেনের সুযোগ পেয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে ডিএসই।

প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার এ অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে এমন লেনদেনের সুযোগ রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অনেক আগে থেকে এ ধরনের লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে। এ পদ্ধতিতে ক্লোজিং সেশনের কারণে সিএসইতে লেনদেন প্রতিদিন কিছু না কিছু বেশি হয়।

তথ্য মতে, বিশ্বের অনেক পুঁজিবাজারে ওপেনিং ও ক্লোজিং সেশন আছে। ওপেনিং সেশনের কারণে বাজার চালুর আগে একটি শেয়ারের ওই দিনের দর কেমন হতে পারে, সেটির ধারণা পাওয়া যাবে। আবার লেনদেন শেষ হওয়ার পরও চাইলে ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ পাওয়া যাবে। এ দুই সেশন চালু হলে বর্তমানে লেনদেন প্ল্যাটফর্মে যে চাপ তৈরি হয় তা কিছুটা কমবে।

ডিএসইর প্রি-ওপেনিং ও ওপেনিং সেশন হবে সকাল পৌনে ১০টা থেকে সকাল ১০টা। এ সেশনে বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার কেনা বা বেচার আদেশ দিতে পারবেন। এ সেশনে ক্রেতা ও বিক্রেতার ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য মিলে গেলেও স্বাভাবিক লেনদেন সময় শুরুর আগে কোনো লেনদেন সম্পন্ন হবে না। সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুতে যেসব আদেশের দর মিলে যাবে, সেগুলোর শেয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাতবদল হয়ে যাবে। বাকি সময় বর্তমানের মতো স্বাভাবিক লেনদেন হবে, যা শেষ হবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।

এদিকে, দুপুর আড়াইটায় স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ক্লোজিং ও পোস্ট ক্লোজিং সেশন। এর ব্যাপ্তি হবে ১০ মিনিট। এ সময়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে কোনো শেয়ারদর প্রস্তাব করতে পারবেন না। শুধু ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনা বা বেচার সুযোগ পাবেন। এ সেশন শেষ হবে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে।

এ বিষয়ে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, ডিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ওপেনিং ও ক্লোজিং সেশন চালুর করার অনুমোদন দিয়েছে। এ দুই সেশন চালু হলে বর্তমানে প্ল্যাটফর্মে যে চাপ তৈরি হয় তা কিছুটা কমবে। নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এনটি/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়