ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাজস্বে কুমিল্লা কাস্টমসের ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৫, ৩১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২১:২১, ৩১ অক্টোবর ২০২০
রাজস্বে কুমিল্লা কাস্টমসের ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৭৩ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ব্যতিক্রমী অগ্রগতির পেছনের পরিশ্রমি ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, করোনাকালে কুমিল্লা টিম কখনো পশ্চাদমুখী বা কর্মবিচ্যুতি থাকেনি। দলবন্ধ প্রচেষ্টা প্রতিযোগিতা এ অভুতপূর্ব সাফল্যের মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। সক্ষম কর্মকর্তাদের বাছাই করে জটিলতর কাজে নিয়োগ, মনিটরিং উদ্বুদ্ধকরণ এক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। সর্বোপরি কর্মস্থলে দেশাত্মবোধ ও সেবার মনোভাব থাকা জরুরি। সারা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের এরকম কাজের ধারা অব্যাহত থাকা উচিত। গভীর রাতে নিবারণ কার্যক্রম, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা এবং অফিস সময় ছাড়াও বাড়তি সময় কাজ করায় কর্মকর্তাদের মনোভাব প্রশংসনীয়। দক্ষ, সক্ষম, উপযুক্ত ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে সব কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতেও পুরস্কৃত করা হবে।

কুমিল্লা কাস্টমস জানায়, রাজস্ব আদায়ে গত বছরের চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ শতাংশ, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। করোনাকালে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন নাজুক অবস্থায়; জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি অর্জন যখন চ্যালেঞ্জের পথে; তখন ব্যতিক্রমী প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে কুমিল্লা কমিশনারেট। ব্যতিক্রমী অগ্রগতির পেছনের পরিশ্রমি কর্মীদের পুরস্কৃত করার জন্য গত ২৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কুমিল্লা কমিশনারেট। যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান সফল করা হয়। অনুষ্ঠানে মোট ৫৫ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়। ২৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে তাদের বিশেষ অবদানের জন্য সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। 
যে সব কারণে সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায় গত বছরের চেয়ে ১৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

সিগারেট ও বিড়ি: অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়। নকল/পুন: অবৈধ বিড়ি ও সিগারেট ব্যান্ডরোল প্রতিরোধে ৪০ টি অভিযান থেকে ১৬টি সফল অভিযানে প্রায় ১১ লাখ শলাকা সিগারেট ও ১০ লাখের বেশি শলাকা বিড়ি আটক করা হয়। এর মূল্য  প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

কুরিয়ার সার্ভিস: কুরিয়ার সাভির্সগুলোতে গত তিন মাসে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। ২০১টির মধ্যে ২৮টি সফল অভিযানে প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল আটক করা হয়।

ইটভাটা: পর্যাপ্ত যানবাহনের স্বল্পতা সত্ত্বেও দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইটভাটাগুলোতে সফল ৩৫২ টি অভিযান পরিচালনা করে ৪.৭৫ কোটি বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হয়; ইটভাটার বকেয়া আদায়ের প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় ৬৪৩ শতাংশ।

স্থান ও স্থাপনা: স্থান ও স্থাপনা খাতে রাজস্ব আদায় হয় ১ কোটি ০৪ লাখ টাকা।

দাখিলপত্র যাচাই: প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন ও ৪২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।

মামলা নিষ্পত্তি: ১০৮টি অভিযান পরিচালনা করে ভ্যাট সংক্রান্ত ৩৯টি এবং কাস্টমস সংক্রান্ত ১৬টি মামলা রুজু করা হয়। ইতোমধ্যে ২১টি মামলা নিষ্পত্তি করে প্রায় ২৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কাজে প্রণোদনা, সার্টিফিকেট মামলা ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা রেখেছে বলে কুমিল্লা কাস্টমস মনে করে।

ঢাকা/এম এ রহমান/এসএম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়