ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পিপিপি মডেলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার  

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ৭ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:১২, ৭ নভেম্বর ২০২০
পিপিপি মডেলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার  

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ)  মডেলের অধীনে বিদেশের বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে চলমান প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাইয়ের উদ‌্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কাইকাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পিপিপিএ-এর বোর্ড সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জাপানের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পিপিপি মডেল প্রস্তাব চাইবে সরকার।  এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।  এর আগে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-জাপানের মধ‌্যে (জি-টু-জি) চুক্তি হয়েছিল।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার সম্ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ও পরিকল্পিত প্রকল্প। এ কারণে নতুন করে পিপিপি মডেলের প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে  আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, যে-সব প্রকল্পের বাস্তবতা ও বিপণনযোগ্যতা বিবেচনা না করেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে সভায়। 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে পিপিপিএ গঠনের পর থেকে পিপিপি মডেলের অধীনে সড়ক পরিবহন, সেতু, বিদ্যুৎ, পর্যটন, স্বাস্থ্যখাতসহ মোট ৭৭টি অনুমোদিত প্রকল্পে কাজ করছে এই সংস্থা। এখন স্বাস্থ্য খাতের দুই প্রকল্প চলছে। নির্মাণ-পর্যায়ে রয়েছে ছয় প্রকল্প। এছাড়া, সিলেটে পর্যটন সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে নিউজিল্যান্ড-ভিত্তিক একটি সংস্থার আবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

জানতে চাইলে পিপিপিএ-এর পরিচালক বলেন,‘গত ৪ নভেম্বর পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেটে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে, ওই প্রস্তাবে কিছু বিষয় পরিষ্কার ছিল না। তাই বিষয়গুলো সংশোধন করে পুনরায় উপস্থাপন করা হবে। কমিটির অনুমোদন পেলেই চুক্তি করা হবে আগ্রহী সংস্থার সঙ্গে। তবে, দরপত্র খোলার পরও বেশকিছু প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হয়নি। বিভিন্ন সমস্যার কারণে চুক্তি স্বাক্ষরের পরও কিছু প্রকল্প শুরু করা যায়নি। তবে,পিপিপি পদ্ধতিতে মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব, এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতু নির্মাণের মতো কিছু  প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুত দিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।’

উল্লেখ‌্য, সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিপি)  তহবিল জোগান ও পিপিপির অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিশ্চিত করেছে।

 

/হাসনাত/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়