ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই ৬ ডিসেম্বর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ১১ নভেম্বর ২০২০  
বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই ৬ ডিসেম্বর

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে আগামী ৬ ডিসেম্বর দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এর ফলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আরও বেশি আমদানি–রপ্তানি করা সম্ভব হবে। 

আর চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে পিটিএ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।

বুধবার (১১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে ভুটানের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়ার দিনেই দু’দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করবেন। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান।

এ চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে।

এর আগে আঞ্চলিক সহযোগিতার লক্ষ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলো ‘দক্ষিণ এশিয়া অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি’ (সাপটা) করেছিল, যা পরে ‘দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’তে (সাফটা) পরিণত হয়। বর্তমানে সাফটার আওতায় উভয় দেশ পরস্পরকে বেশ কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। এখন দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে আরও কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা মিলবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পিটিএ হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক বিনা শুল্কেই ভুটানে যাবে। এছাড়া পাট ও পাটজাতীয় পণ্য, চামড়াপণ্য ও জুতা, ফ্যান, ব্যাটারি, কনডেন্সড মিল্ক, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যেও শুল্কমুক্ত সুবিধা মিলতে পারে। অন্যদিকে ভুটান থেকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধায় অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম দামে পাথর, কাঠ, ফল ইত্যাদি আমদানি করতে পারবে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ২৬.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রথম দিকে বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে থাকলেও এখন ভুটানের পক্ষে রয়েছে। কারণ পদ্মাসেতুসহ দেশের বড় বড় প্রকল্পে ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি করায় দেশটি থেকে আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

ঢাকা/হাসান/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়