ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘শেয়ারবাজারে কারসাজি করে কেউ পার পাবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২২:৫৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
‘শেয়ারবাজারে কারসাজি করে কেউ পার পাবে না’

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে কারসাজি করে কেউ পার পাবে না। কেউ খেলতে চাইলে আমরা তাকে তখনই ধরে ফেলব।’

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস (আইডিইএ)’ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার মূল বিষয় ছিল—বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উৎস হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কারসাজি থামানোর জন‌্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রথম প্রথম আমরা বিষয়গুলো গণমাধ্যমে জানাতাম। তাতে দেখলাম, একটু আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এখন যারা সিরিয়াল ট্রেডিং করে বা চাতুরি করতে চায়, আমরা তাদের ফোন করে কমিশনে ডেকে নিয়ে আসি। তাদের সঙ্গে কথা বলে এই কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখার জন্য যা যা দরকার তাই করছি।’

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘শেয়ারবাজারে কোনো লোক যদি দুষ্টুমি করতে আসে, তার কাছে কত টাকা থাকতে পারে? শত কোটি, হাজার কোটি? আমরা তার ১০ গুণ ক্ষমতা দিয়ে দিচ্ছি আইসিবিকে। যাতে কেউ খেলতে এসে কোনো সুবিধা না করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আইসিবিকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা ৫ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বা ব্যাংকিং খাতের যদি বাড়তি টাকা থাকে, তাহলে এর সঠিক ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, আমরা হিসাব করে দেখেছি, মানুষকে দেওয়া হয়নি এরকম লভ্যাংশ এবং শেয়ার পড়ে আছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার। সেসব এতদিন বিভিন্ন জায়গায় পড়েছিল। আমরা সবগুলোকে এখন মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে আইসিবির কাছে নিয়ে আসছি। এই স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ফান্ডটি পার্পেচুয়াল হবে। যে কেউ যখন তার সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারবেন, তিনি তার টাকা নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু যত দিন এই ফান্ড আইসিবির কাছে থাকবে, এটা আমাদের মার্কেটকে স্ট্যাবল করার জন্য কাজ করবে। আইসিবি যেন এই তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য ফাইন্যান্সিয়াল টুলসও তৈরি করা হয়েছে।’

১৯৯৬ ও ২০১০ সালের ধসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএসইসি’র চেয়ারম‌্যান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে এবং ২০১০ সালে যে ধস হয়েছে, সে সময় আজকের মতো শেয়ারবাজার নিয়ে সবার জ্ঞান ছিল না। ১৯৯৬ সালে মানুষ হাতে কাগজ নিয়ে মতিঝিলে শেয়ার লেনদেন করত। কিন্তু এখন এরকম নেই। এখন এগুলো সব চলে এসেছে সিডিবিএল এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি প্ল‌্যাটফর্মের মধ্যে। আমাদের সার্ভেইলেন্সের সফটওয়্যার এখন অনেক শক্তিশালী।’

সাবেক একদল সচিবের গড়া প্ল‌্যাটফর্ম আইডিইএ’র প্রথম এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান।

আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর, ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী প্রমুখ।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়