ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

স্বল্প মূলধনী প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী ১২ কোম্পানি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৯:৪৪, ২ মার্চ ২০২১
স্বল্প মূলধনী প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী ১২ কোম্পানি

পুঁজিবাজারের স্বল্প মূলধনী প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী দেশীয় ১২টি টেকনোলোজি কোম্পানি।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) এ বিষয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে কোম্পানিগুলো। বিকাল ৩টার দিকে আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনর অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

কোম্পানিগুলো হলো- সেবা ডট এক্সওয়াইজেড, চালডাল, যান্ত্রিক, ল্যান্ডনক, হ্যালো টাস্ক, বনডেস্টিন টেকনোলোজিস, ব্রোইনস্টেশন২৩, ই-কুরিয়ার, কাশ ফুড, সেমড, ডিভাইন আইটি ও এনানোভাস আইটি।

বৈঠকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলো কীভাবে পুঁজিবাজারের এই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিএসইসির কমিশনর অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, দেশের স্বল্প মূলধনী ১২টি টেকনোলোজি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। বৈঠকে তারা কীভাবে পুঁজিবাজারের স্বল্প মূলধনী প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।

স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে স্বল্প মূলধনী প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। বিএসইসির ৫৬৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা এবং তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে। স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করতে হবে। তবে এ বাজারে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন।

আর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর চিহ্নিত করতে সিডিবিএল ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজার উন্মুক্ত থাকবে না। বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে বাজারে লেনদেন পরিচালিত হবে। এই বাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।

 

ঢাকা/এনটি/এসএন 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়