ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘আইপিও শিকারীরা ক্রিম নিয়ে ভেগে পড়েন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১২, ৮ মার্চ ২০২১  
‘আইপিও শিকারীরা ক্রিম নিয়ে ভেগে পড়েন’

শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লেনদেনের শুরুতেই ‘আইপিও শিকারীরা’ ক্রিম নিয়ে ভেগে পড়ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে ‘আইপিও আবেদনে ইস্যু ম্যানেজারদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন বিএমবিএ সভাপতি।

ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লেনদেনের শুরুতেই ‘আইপিও শিকারীরা’ শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যান। মূলত তারাই শেয়ারবাজারের ক্রিম নিয়ে ভেগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘২০০৫ বা ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো আইপিওর ১০০ টাকার শেয়ার ২০০ টাকা হয়নি। দুই-একটা হতে পারে। আমার মনে আছে, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৫০ টাকা প্রিমিয়ামে আসছিল, সেজন্য ওইটার দর ২০০ টাকা হয়েছিল। কিন্তু আজকে বাজারে আলু, পটল যাই নিয়ে আসুন না কেন, সেটার দাম চার থেকে পাঁচ গুণ হয়ে যাচ্ছে। যখেই এটা হচ্ছে, সেই টাকা কিন্তু আইপিও শিকারীদের মাধ্যমে মার্কেটের বাইরে চলে যাচ্ছে।’

প্রথম দিনেই ফ্রি ফ্লোট শেয়ার বেশি করার প্রস্তাব দিয়ে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, ‘লেনদেনের প্রথম দিন যদি সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার রবি আজিয়াটার শেয়ার থাকত, তাহলে কেউ ৭০ টাকায় শেয়ার নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখত না। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তো শেয়ার বিক্রি করবেন। তারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মুনাফা করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়নি। তাই বিএসইসির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, স্পন্সর ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার হোল্ড করতে হবে। এই ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ ফ্রি করে দেন। ’

তিনি বলেন, আইপিওর মাধ্যমে একমাত্র ক্যাপিটাল মার্কেটকে বড় করতে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। তার সঙ্গে আবার ছোট ছোট সেভিংসগুলো বাজারের মাধ্যমে কাজ করে শিল্পায়নে বা ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এ ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম কথা শুনি। বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকারদের ওপরই পুরো দোষটা আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অডিটরদের ওপর আসে। আমরা তো পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। দেশে প্রচলিত আইপিও যে রুলস আছে তা পরিপালন করেই আমরা নতুন সিকিউরিটিজ ইস্যু করি। তারপরেও আমার সহকর্মীরা সমালোচনা শিকার হচ্ছেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

 

ঢাকা/এনটি/এসএন 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়