কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তূচ্যুত রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে  কমিউনিটি বেইজড প্রটেকশান (সিবিপি)-এর আওতায় কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ই মার্চ, ২০২১) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১৮ নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ক্যাম্প ইনচার্জ কাজী শামীম। 

রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং নিজরাই সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন- সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর) এর সহযোগিতায় ব্র্যাক এই কেন্দ্র  নির্মাণ ও যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর) এর কমিউনিটি বেইজড ইউনিট এর প্রটেকশান কর্মকর্তা তাকাশি মরি, ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (এইচসিএমপি)-এর কর্মসূচি প্রধান রবার্ট শিলা মুথিনি, সংস্থাটির সিবিপি-এর টিম লিড শারমিন আকতার, একই সংস্থার কমিউনিটি বেইজড প্রটেকশান ( সিবিপি)-এর ডেপুটি প্রকল্প ম্যানেজার বোরহান মাহামুদ, ইমরান আজাদ ও তাহমিনা সুলতানা প্রমূখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাজী শামিম বলেন, যে উদ্দেশ্যে এটা নির্মাণ করা হয়েছে তা যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে যাবতীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে স্থানীয় রোহিঙ্গা দলনেতাদের আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া যেসব কাজে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ আছে বিশেষত কাঁথা সেলাই, টুপি তৈরি, টেইলারিং প্রশিক্ষণে তাদেরকে অন্তভূক্ত করতে হবে। 

তিনি স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ তৈরির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানান।  

কমিউনিটি সেন্টার, তথ্য সেবা, কমিউনিটি গ্রুপ এবং কমিউনিটি আউটরিচ মেম্বার-এই চারটি ভিত্তিতে এই সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।  

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টেকনাফ ও উখিয়ায় এই নিয়ে মোট ১১ টি কমিউনিটি ভিত্তিক সুরক্ষা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। রেডিওতে বার্তার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি, অডিও ভিজুওয়াল ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪৯৮ জনকে এই সেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪৫ হাজার ১৩৩ জনকে তথ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী কমিউনিটির জীবন মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।