শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিজনেস কাউন্সিল চালু হবে: রাষ্ট্রদূত
মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে শিগগিরই ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।
রোববার (২১ মার্চ) মতিঝিল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জন্মগতভাবেই বাংলাদেশিরা অত্যন্ত উদ্যোমী ও সাহসী, যা নিজেকে অত্যন্ত আলোড়িত করে। এ দেশের উদ্যোক্তাদের সাহসি মনোভাব সামনের দিনগুলো বিশ্বে বাণিজ্য ও পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শিগগিরই ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ চালু করা হবে, যার মাধ্যম মার্কিন উদ্যোক্তাদের নিকট এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কৃষি, পর্যটন ও ইকো-টুরিজম, সমুদ্র অর্থনীতি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমোবাইল প্রভৃতি খাত বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ১০ বছরে দু-দেশের বাণিজ্য ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২০ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৭ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাড়িঁয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন এবং ৫ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকরা পণ্য জাহাজিকরণের ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক প্রদান করে, যেটি যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর এ ধরনের উচ্চ শুল্ক হার তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নকে ব্যাহত করছে এবং আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
তিনি মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি পাদুকা ও ডেইরি পণ্যের শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, মার্কিন দূতাবাসের ইকোনোমিক অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ইউনিট চিফ জন ডি. ডানহাম এবং ইউএসএআইডির ইকোনোমিক গ্রোথ অফিস-এর পরিচালক জন স্মিথ শ্রীন উপস্থিত ছিলেন।
শিশির/সাইফ
আরো পড়ুন