মুঠোফোনভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়লো
মুফোফোনভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়লো। লকডাউনের কারণে ব্যক্তি টু ব্যক্তি লেনদেনের মাসিক সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। আগের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন চার্জবিহীন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট রোববার (৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং সকল পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটরদের কাছে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় চার্জবিহীন ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) একক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য সকল লেনদেন সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের লেট ফি মওকুফ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের তারিখ সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলী বা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপকালিন সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত থাকলে উক্ত বিল পরিশোধের তারিখ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হওয়ার পরবর্তী ৫ কর্মদিবস পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ বা বর্ধিত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।
উক্ত পরিশোধের সময়সীমা পর্যন্ত লেট পেমেন্ট ফি আরোপ না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। নিষেধাজ্ঞা আরোপকালিন সময়সীমার মধ্যে শুধুমাত্র প্রিন্সিপাল এমাউন্টের ওপর সুদ আরোপ করা যাবে। এক্ষেত্রে পরবর্তী মাসের বিলে, পূর্ববর্তী মাসের বিলের সুদের ওপর কোন প্রকার নতুন সুদ আরোপ করা যাবে না। এছাড়া এনএফসি সুবিধাযুক্ত কার্ডের লেনদেন সীমা ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
লকডাউনের বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশনায়। পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনএফ/আমিনুল
আরো পড়ুন