ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

৩৩ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট এলএনজি আসছে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৭ এপ্রিল ২০২১  
৩৩ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট এলএনজি আসছে

দেশে গ্যাসের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।  চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ১১তম এলএনজি কার্গো আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করা হবে।  এজন্য মোট ব্যয় হবে ২৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এওটি ট্রেডিং উল্লেখিত পরিমাণ এলএনজি সরবরাহ করবে।

এর আগে গত মার্চ মাসে তিনটি এলএনজি কার্গোার মাধ্যমে মোট এক লাখ ৮০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কার্গো আমদানি করা হয়।  এর মধ্যে ৮ম এলএনজি কার্গোর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।  সে সময় প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ৮.৩৫৫ মার্কিন ডলার।  সে হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হয় ২৭৮ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এরপর ৯ম এলএনজি কার্গোর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ আমদানি করা হয়। এর প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ৭.৪৪২১ মার্কিন ডলার।  সে হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হয় ২৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

একই মাসে ১০ম এলএনজি কার্গোর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করা হয়। প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ৬.৫৩০০ মার্কিন ডলার।   এজন্য ব্যয় হয় ২১৮ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

সূত্র জানায়, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি থাকায় সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। কক্সবাজার জেলার মহেশখালিতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইইবিএল) এবং সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপিত দুটি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) হারে গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে কাতার গ্যাস এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (ওকিউটি)-এর সাথে দুটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।  এছাড়া, বছরের কোন সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমে গেলে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ গ্রহণ না করলেও দাম পরিশোধ করতে হয়। এ বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারী দেশগুলো প্রয়োজনের কমবেশী ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে কিনে থাকে। এজন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট হতে এলএনজি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (২০১৮ সনের সর্বশেষ সংশোধনীসহ)-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের লক্ষ্যে গত ০৮-০৬-২০১৭ তারিখে জাতীয় পত্রিকাসহ সিপিটিইউ, পেট্রোবাংলা ও আরপিজিসিএল এর ওয়েবসাইটে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেন্ট প্রকাশ করা হয়।  এতে ৪৩ টি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তাব দাখিল করে। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এওটি ট্রেডিংকে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।  দরপত্রের মেয়াদ ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল বেলা ১২টায় শেষ হবে।  এ অবস্থায় আজ ৭ এপ্রিল ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
 

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়