মার্কেট–শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর মালিকরা
ছবি: হাসিবুল ইসলাম মিথুন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যে আজ থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দেশের মার্কেট ও দোকানপাট৷ তবে এই সময়ের মধ্যে সব ব্যবসায়ীকে মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।
রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী এলাকার অভিজাত বিপণিবিতানগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জীবাণুনাশক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে এসব নিয়ম সাধারণ মার্কেট বা বিপণিবিতানগুলোয় তেমন একটা মানা হচ্ছে না। অনেকেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করছেন আমার অনেক মার্কেটের সামবে নেই জীবানুনাশক স্প্রে।
রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার, মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় আড়ং, লা-রিভ, জেন্টেলপার্ক, ইয়োলো, টুয়েলভ, ফ্রিল্যান্ডসহ আরও কিছু অভিজাত শোরুম ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি শোরুমে ঢোকার শুরুতেই ভালোভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানুমুক্ত করে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
আড়ং শোরুমের প্রবেশমুখে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে জীবাণুনাশক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ক্রেতারা গেলে তাদের হাতে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেন তিনি। আবার তাপমাত্রাও মাপা হয়। আর সব ক্রেতারা মাস্ক পরা।
আসমা আক্তার নামের এক ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, মার্কেট এমনিতেই খুব ভিড়ের জায়গা। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কড়াকড়ি না থাকলে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজ থেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে খুব কড়াকড়ি।
রাজধানীতে অনেক শপিংমলে বসানো হয়েছে জীবাণুনাশক টানেল। কিছু কিছু স্থানে এর ব্যবহার করা হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্যামলী স্কয়ারে ক্রেতার সংখ্যা ভালোই ছিলো। মার্কেটের বিক্রেতারা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।
কথা হয় এফজি ফ্যাশন হাউসের ম্যানেজার দেওয়ান নাজমুল হক বলেন, শুরু থেকেই হাত ধোয়া, তাপমাত্রা মাপা ও জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা রেখেছি আমরা। এছাড়া মার্কেট কর্তৃপক্ষ দোকানগুলোয় বলে দিয়েছে মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি না করতে।
মিরপুর-১০ নম্বরের প্লাস পয়েন্ট শোরুমের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের শোরুমে কেউ মাস্ক ছাড়া আসলে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোরুমে বিক্রি করতে।
এদিকে, মিরপুর-১ নম্বর এলাকার ফুটপাতের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই মাস্ক পরা থাকলে দুরত্ব বজায় রেখে চলছেন না। একে অন্যের গায়ে ঘেসাঘেসি করে চলাচল করছেন। কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতে হকারদের মধ্যে মাস্ক না পরার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।
এ বিষয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকান খুলবো। আমরা চাই না আমাদের নিজেদের ভুলে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হোক। দেশে বর্তমানে আসলেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট।
হাসিবুল/সাইফ
আরো পড়ুন