ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দেনা মেটাতে ১২৬৫ কোটি টাকা চায় বিজেএমসি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৮ এপ্রিল ২০২১  
দেনা মেটাতে ১২৬৫ কোটি টাকা চায় বিজেএমসি

অতিরিক্ত লোকসানের কারণে বেসরকারিকরণ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) এর ২৫টি পাটকল দিয়েছে। তবে বিজেএমসিতে এখনো যারা কর্মরত রয়েছেন সেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা মেটাতে ১২৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

সূত্র জানায়, গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ২৫টি পাটকলের বিদ্যমান কর্মীদের অবসর পাঠানোর পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন এবং ছাঁটাইকৃতদের ভাতা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ৯২.৯৯ শতাংশ বা ৩৫২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ের জন্য ছাড় হয়েছে।  লোকসানি পাটকল বন্ধ করতে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থবছর ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছিল।

সূত্র জানায়, বিজেএমসির এখন কিছু কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছেন যারা প্রায় এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন। তারা এখনও গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের জন্য অপেক্ষা করছেন।  বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে এখনো যারা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে যাননি তাদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ১২৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পাটকলগুলোর ব্যাংক ঋণ এর সঙ্গে যোগ হলে বিজেএমসির দায় অনেক বেশি হবে।  আর সেটাও বাজেট বরাদ্দে থাকতে হবে।  রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাকের কাছে প্রায় ৯৭৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে।

বস্ত্রও পাট মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিজেএমসিতে এখনো যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন তাদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার জন্য তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে। এখনো প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।  তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।

এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট সচিব (বর্তমানে স্বাস্থ্য সচিব) বলেছিলেন, লোকসানি পাটকলগুলো পরিচালনার জন্য জি টু জি চুক্তি, পিপিপি বা অন্যান্য যেকোনো  ধরনের বিনিয়োগের পথ খোলা রয়েছে।  যদি লিজিং প্রক্রিয়ায় যথাযথ কোনো সাড়া পাওয় না যায় তখন বিকল্প চিন্তা করা হবে।  

অত্যাধিক লোকসান ও অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়ের কারণে সরকার গত বছরের ১ জুলাই সরকারি পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।  সে সময় স্থায়ী, অস্থায়ী এবং বিকল্প শ্রমিক তিনটি বিভাগে ৫০,০০০ এরও বেশি শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়।

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়