ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে আসছেন অনেকে

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০২, ৪ মে ২০২১   আপডেট: ১৪:০৬, ৪ মে ২০২১
কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে আসছেন অনেকে

রাজধানীর মতিঝিলে কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে চাকরি করেন মো. খোরশেদ মিয়া। থাকেন সাইনবোর্ড এলাকায়। লকডাউনের মধ্যেও অফিস খোলা, তাই বাধ্য হয়ে অফিস করতেই হচ্ছে তাকে।

অফিস থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় নিজের খরচেই অফিসে আসছেন তিনি। শুধু খোরশেদ মিয়া একা নয়, এ রকম অল্প আয়ের অনেকে চাকরিজীবীকেই প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে।   

মঙ্গলবার (৪ মে) রায়েরবাগে কথা হয় খোরশেদ মিয়ার সঙ্গে। খুব কষ্ট নিয়েই বললেন, লকডাউনের মধ্যে আমাদের অফিস খোলা রাখা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় আনা-নেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। ফলে নিজস্ব ব্যবস্থাতেই আমাদের অফিস করতে হয়।

তিনি বলেন,  আগে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে অফিসে যেতে পারতাম। এখন রিকশা-সিএনজিতে ২২০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কি আর করা, চাকরি হারানোর ভয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে যাচ্ছি।

গুলিস্তানে একটি দৈনিক পত্রিকার অফিস সহকারী জুয়েল হোসেন বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই আমাদের অফিস খোলা রয়েছে। চাকরি বাঁচাতে অফিস করতে হচ্ছে। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কখনও রিকশায়, সিএনজিতে আবার হেঁটে অফিস করছি। কিছুই তো করার নাই।  চাকরি করতে হলে প্রতিদিন অফিসে আসতে হবে। কোন পরিবহণ খরচ অফিস দেবে না।  

একই কথা জানালেন গুলিস্তান খদ্দর মার্কেটেরে দোকান কর্মচারী মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, রমজান মাসের এমনিতেই খরচ বেশি। এপ্রিল  মাসে যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর। লকডাউনের কারণে এপ্রিল মাসে কোন বেতন পাইনি। ২৮ হাজার টাকা ঋণ করে বাসা ভাড়া ও সংসার চালিয়েছি। দোকান মালিক বলেছেন চাকরি করতে হলে প্রতিদিন আসতে হবে। কোন পরিবহণ ভাড়া দেওয়া হবেনা। চাকরি বলে কথা। চাকরি গেলে কি খাবো। চাকরি রক্ষায় ধার দেনা করে প্রতিদিন দোকানে আসছি।

গুলিস্তানে কথা হয় একটি ওষুধ কোম্পানির অফিস সহকারী মাসুম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন অফিস করতে হচ্ছে। যারা বড় পদে চাকরি করেন তাদের গাড়িতে আনা-নেওয়া হয়। আমাদের জন্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা নেই। সিএনজি কিংবা রিকশায় অফিস করছি। এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কথা বললে উল্টো চাকরি চলে যাবে। তাই কষ্ট হলেও চাকরি করছি।

গুলিস্তানের আলু বাজার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সহকারী ম্যানেজার মো.নুর হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে অফিস চলছে। আমরা  নিজস্ব পরিবহনে কর্মীদের অফিসে যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করছি। কেউ কেউ রিকশা বা অন্য কোনো উপায়ে অনেকেই অফিসে আসছেন তাদের অফিস থেকে বিলের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করা হচ্ছে। 

ঢাকা/ আসাদ/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়