ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ব্যাংকে গ্রাহক উপস্থিতি ছিলো কম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১২ মে ২০২১  
ব্যাংকে গ্রাহক উপস্থিতি ছিলো কম

ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে সীমিত সময়ের জন্য লেনদেন হয়েছে।  বুধবার (১২ মে) ব্যাংকগুলোতে সাধারণ গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল তুলনামুলক কম। তবে আজকে ব্যাংকে উপস্থিত গ্রাহকদের অধিকাংশই বড় ধরনের লেনদেন করছে।  

রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানিয়েছেন তারা।

সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, একদিকে সীমিত পরিসরে চলছে ব্যাংকের কার্যক্রম অপরদিকে ঈদের ছুটিতে মানুষের নগদ টাকার চাহিদা রয়েছে।  অধিকাংশ গ্রাহকরাই মনে করেছে ঈদ বৃহস্পতিবার হলে ব্যাংক আজ থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গতকালই অধিকাংশ গ্রাহক নগদ অর্থের যোগান নিতে ব্যাংকে ভিড় করেছিল। তবে সেই তুলনায় আজ ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম।  তবে যারা আজ ব্যাংকে আসছে তারা বড় ধরনের লেনদেন করছে।

তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রমে উৎসাহিত করা হয়েছে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা সরবরাহ করা হয়েছে।  ঈদের ছুটিতেও এটিএম বুথগুলো থেকে গ্রাহকরা সহজেই সেবা নিতে পারবেন। তবে তুলনামূলক বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্যই গ্রাহকরা সরাসরি ব্যাংকে আসছে।  

ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ফরেন এক্সচেঞ্জ করপোরেট শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম কাউছার আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অন্যান্য দিনের চেয়ে গ্রাহকদের চাপ গতকাল সবচেয়ে বেশি ছিল। সেই তুলনায় আজকে গ্রাহক উপস্থিতি অনেক কম ছিলো।  যারা আসছে তারা শিল্প কারখানার বেতন ভাড়ার জন্য বড় অঙ্কের লেনদেন করেছেন।

ব্যাংকপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কোনো গ্রাহক ব্যাংকের প্রবেশ করতে পারেনি। ব্যাংকের প্রবেশ পথে নিরাপত্তারাকর্মীরা জীবাণুনাশক স্পে করতে দেখা গেছে।  ব্যাংকগুলোর ভেতরে গ্রাহকদের বসার জায়গাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।

সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, সব সময়ই ঈদের আগে ব্যাংকে গ্রাহকদের চাপ থাকে। এবার একটু ব্যতিক্রম।  অনেক গ্রাহকই বৃহস্পতিবার ঈদ হবে ধরে নিয়ে বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে মনে করেছিল।  ফলে গতকাল গ্রাহকদের চাপ ছিল বেশি।  অনেকে টাকা তুলে গ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।  তাই আজ গ্রাহক উপস্থিতি কম। তবে যারা আসছে তাদের অধিকাংশই বড় লেনদেন করছে।  বিশেষ করে শিল্প কারখানায় বেতন ভাতার অর্থ উত্তোলন করতে দেখা গেছে।

সোনালী ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের খরচ মেটানোর জন্য টাকা উত্তোলন করতে আসছি।  অনেক সময় এটিএম বুথে টাকা থাকে না।  তাই ভোগান্তি এড়াতেই ব্যাংকে আসলাম।  ভিড় কম থাকায় সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পেরে ভালো লাগছে।  

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ঈদের আগে ব্যাংকের গ্রাহকদের উপস্থিতি আজ তুলনামূলক অনেক কম।
 

এনএফ/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়