ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টিকা কর্মসূচির জন্য ১৫৩ কোটি টাকা চেয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ২০ মে ২০২১  
টিকা কর্মসূচির জন্য ১৫৩ কোটি টাকা চেয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ

করোনভাইরাসের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য অর্থ বিভাগের কাছে আরও ১৫৩ কোটি টাকা চেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ‌্য সেবা বিভাগ। টিকাদান কর্মসূচিতে কর্মরত কর্মী, নার্স এবং স্বেচ্ছাসেবীদের পারিশ্রমিক দিতে এসব অর্থের প্রয়োজন হবে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। কারোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচিতে যারা কাজ করছেন, তাদের দৈনিক মজুরি শ্রেণিভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বর্তমানে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া কর্মসূচি বন্ধ আছে। এ মুহূর্তে বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়টি বোধগম্য নয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘চীন থেকে পাওয়া ভ্যাকসিন নিয়ে আগামী ২৫ মে থেকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি আবার শুরু করার কথা আছে। আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না, কেন এখন স্বাস্থ্য বিভাগের এ তহবিল প্রয়োজন?’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি অব‌্যাহত রাখতে ১০ হাজার ৪০০টি দল প্রয়োজন হবে। প্রতিটি দলে থাকবে চারজন সদস্য। এছাড়া, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে ১ হাজার ২৪১ জন কর্মী লাগবে।

এই ১০ হাজার ৪০০ টিমের  প্রত‌্যেক সদস‌্য দৈনিক ৫০০ টাকা এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জনপ্রতি দৈনিক ৩৫০ টাকা করে ভাতা পাবেন।

এতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৮৮ লাখ ৭৩ হাজার ২০০ টাকা। ‘করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা তহবিল’ থেকে এ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।

সরকার ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে করোনার টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা সরবরাহ স্থগিত করায় সরকার ২৫ শে এপ্রিল প্রথম ডোজ দেওয়া স্থগিত করে। এখন রাশিয়া, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে চীন থেকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে বাংলাদেশ চুক্তি করলেও গত চার মাসে দুই চালানে পাওয়া গেছে ৭০ লাখ ডোজ। এছাড়া, ভারত সরকার আরও ৩২ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে। বর্তমানে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় আগে নিজেদের চাহিদা মেটাতে ভারত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। এ কারণে বাংলাদেশকে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে নিতে জরুরি ভিত্তিতে অন্য উৎস খুঁজতে হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়