ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে’

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ১৯ জুন ২০২১  
‘রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে একশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। রপ্তানি পণ্য হিসেবে প্লাস্টিক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। দেশের বর্তমান রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ ভাগ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকার দেশের রপ্তানি পণ্যসংখ্যা বাড়াতে প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি নীতি প্রনয়ণ করেছে।’

শনিবার (১৯ জুন) রাজধানী ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনলাইনে চার দিনব্যাপী ‘১৫তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ার-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস মেনুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস মেনুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ এবং ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে কারিগরি প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে স্থাপিত টেকনোলজি সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, কারিগরী দক্ষতা বাড়িয়ে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘প্লাস্টিক বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প, দ্রুত এ শিল্পের প্রসার ঘটছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। বিভিন্ন উন্নতদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বাণিজ্যবান্ধব বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায়, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ার (আইপিএফ) অনলাইন এক্সপো আগামী ৫-৮ জুলাই চলবে। এক্সপোতে ১৯টি দেশের প্রায় ৪৮৩টি প্লাস্টিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, চায়না, ইজিপ্ট, ইথিওপিয়া, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান, তাইওয়ান, থাইল্যন্ড, তুরষ্ক, সংযুক্ত আরব আমীরাত এবং ভিয়েতনাম। 

দর্শনার্থীরা অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলায় প্রদর্শীত সব পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

হাসনাত/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়