ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডিএসই’র আরও ১৬ ব্রোকার হাউজ অনুমোদন দিলো বিএসইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১১, ২১ জুন ২০২১   আপডেট: ২১:৩০, ২১ জুন ২০২১
ডিএসই’র আরও ১৬ ব্রোকার হাউজ অনুমোদন দিলো বিএসইসি

দ্বিতীয় দফায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ১৬ ব্রোকারেজ হাউজকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর আগে ডিএসই’র প্রস্তাবিত মোট ৫৪টি ট্রেকের মধ্যে প্রথম দফায় গত ১৮ মে ৩০টি ট্রেক অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এর ফলে নতুন ট্রেক অনুমোদনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬টি। ডিএসইর সদস্যভুক্ত মোট ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৬টি।

সোমবার (২১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসই-কে পাঠিয়েছে বিএসইসি।

অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো—বি রিচ, ইম্পেরোর সিকিউরিটিজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেডিং, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, এনওয়াই ট্রেডিং, কলম্বিয়া শেয়ার, এমকেএম সিকিউরিটিজ, স্মার্ট শেয়ার, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, আমার সিকিউরিটিজ, ব্যাঙ জি জিও টেক্সটাইল, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ ও রহিমা ইক্যুইটি।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ডিএসইর প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন করে আরও ১৬টি ট্রেকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

শেয়ারবাজারের পরিধি বাড়াতে নতুন ট্রেক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃতত্বাধীন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন। পরে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পরিপালন ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন ট্রেক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এরপর ডিএসই’র ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম দফায় নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ ১৮ মার্চ পর্যন্ত রাখা হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের মেয়াদ ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠান ট্রেক সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আবেদন করে। যাচাই-বাচাই শেষে প্রথম ধাপে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল হয়। ফলে ট্রেক সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিএসইসি-তে পাঠায় ডিএসই। পরবর্তী সময়ে বিএসইসি’র নির্দেশে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় যুক্ত করে ডিএসই। সব মিলিয়ে ডিএসই’র প্রস্তাবিত ট্রেকের আবেদনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪টি।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বিএসইসির ট্রেক রুলস অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রেকের জন্য নিবন্ধন ফি ১ কোটি টাকা। এছাড়া, এই ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফিসহ এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে হয়। এছাড়া, ট্রেক নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ কোটি টাকা জামানত দেওয়ার বিধান আছে। তবে বিদেশিদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা এবং শুধু বিদেশিদের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। জামানতের ক্ষেত্রে বিদেশিদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার জন্য ৪ কোটি টাকা এবং শুধু বিদেশিদের জন্য ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। ট্রেকের বার্ষিক ফি হিসেবে ১ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে।

নতুন ট্রেকের বিষয়ে জানতে চাইলে বি রিচ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী রফিকুল হসান রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘ট্রেক অনুমোদনের বিষয়ে ডিএসইর কাছ থেকে এখনও কোনো চিঠি পাইনি।’

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়