ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘ডিজিটাল কেনাবেচা হবে এসক্রো অ্যাকাউন্টে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২১, ৪ জুলাই ২০২১  
‘ডিজিটাল কেনাবেচা হবে এসক্রো অ্যাকাউন্টে’

ডিজিটাল কমার্স একটি ক্রম বিকাশমান সেক্টর। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো মূল্য পরিশোধ বা পেমেন্ট সিস্টেম। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম ম্যান্ডেট হলো স্মোথ একটি পেমেন্ট সিস্টেম নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা ডিজিটাল কমার্সে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এসক্রো অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করেছি।

রোববার (৪ জুলাই) ডিজিটাল হাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর আহমেদ জামাল এ কথা বলেন।  অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ই-ক্যাব।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করার পরও অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের পণ্য পেতে বিলম্ব হচ্ছে।  এমনকি পণ্য পাচ্ছেন না।  বিধায় গ্রাহক ও অর্থ পরিশোধ সেবা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। যা ডিজিটাল কমার্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয়ের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো পরিশোধ বা পেমেন্ট সিস্টেম। ডিজিটাল পেমেন্ট সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সম্প্রতি একটি সার্কুলার দেওয়া হয়েছে।

এসক্রো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আহমেদ জামিল বলেন, সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল কামার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে পণ্য সেবা সরবরাহ প্রদানের নিশ্চিত করার পর অর্থ ছাড় করার জন্য গ্রাহকের নাম, মোবাইল নাম্বার, ক্রয়াদেশের তালিকা, ব্যাংক, পিএসওসহ অন্যান্য তথ্য পরিশোধ সেবাকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে।  এর ভিত্তিতে গ্রাহক তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পেয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়ার পর টাকা ছাড় দেওয়া হবে।  এর ফলে গ্রাহকের মধ্যে আস্থার সৃষ্টির হবে। এতে ডিজিটাল কমার্স আরও বেশি বিকশিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমাদের তথ্য প্রযুক্তি খাত দ্রুত সময়ে অগ্রসর হচ্ছে তার নতুন সংযোজন এই ডিজিটাল হাট। বৈশ্বিক এই করোনা মহামারির সময়ে দেশে যখন চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ পালিত হচ্ছে সেই সময় নিরাপদে ঘরে বসে কোরবানির পশু কেনার সুবিধা যেমন একদিকে জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। অপরদিকে, ক্রেতাদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা প্রদান করবে।

আহমেদ জামাল বলেন, বিশ্বব্যাপী গ্রাহকরা ডিজিটাল মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য ডিজিটাল পদ্ধতিতেই মাধ্যমেই পরিশোধ করতে চায়। কিন্তু একই সঙ্গে পরিশোধিত মূল্যে যথা সময়ে মান সম্মত পণ্য পাওয়ার অধিকারও রাখে ক্রেতারা। গ্রাহকের আস্থা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেমেন্ট সম্পাদনের অন্যতম প্রধান নেয়ামক। বিগত এক দশকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল পেমেন্টের একাধিক সিস্টেম তৈরিতে সরাসরি এবং নীতিগতভাবে সহায়তা প্রদান করেছে।  ইতিমধ্যে দেশে ডিজিটাল কমার্স দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটছে। এমতাবস্থায় ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা সৃষ্টি এবং স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অর্থ ছাড় দেওয়ার জন্য বিশেষ সার্কুলার জারি করেছে।  

এই নীতিমালা ডিজিটাল পেমেন্টকে অধিকতর নিরাপদ ও আস্থা সৃষ্টি করবে।  একই সঙ্গে ডিজিটাল কমার্সের বিকাশে ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া সরকারের তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান থেকে সব সময় নীতিগত এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করছে। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

/নাজমুল/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়