ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

খুললো বাংলাদেশ-ভারত নতুন বাণিজ্য দুয়ার: আসছে পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রেন

তিতাস আনন্দ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৯ জুলাই ২০২১   আপডেট: ০৯:১৮, ২৯ জুলাই ২০২১
খুললো বাংলাদেশ-ভারত নতুন বাণিজ্য দুয়ার: আসছে পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রেন

খুলে গেলো বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দুয়ার। ৬৫ বছর পর ফের চালু হচ্ছে সম্ভাবনাময় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ। এ পথে পণ্যপরিবহনে ১৫০ কিলোমিটার পথ সাশ্রয় হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি থেকে ট্রায়াল রান সম্পন্ন করেছে ভারতীয় একটি ট্রেন। চলতি বছরে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনেতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ঐতিহাসিক চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথে যাত্রী ট্রেনের উদ্বোধন করেন। কিন্তু কভিডের বেলাগাম পরিস্থিতি যাত্রী ট্রেন চাকা থামিয়ে রেখেছে। অনুকুল পরিবেশ আসলেই দু’দেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল শুরু হবে।

এ ক্ষেত্রে বাধা নেই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে। ৬৫ বছর পর ফের হুইসেল বাজিয়ে ১ আগস্ট ৩০ ওয়াগন পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসছে ভারতীয় ট্রেন। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি ইঞ্জিন নিয়ে হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত লার্নিং রান সম্পন্ন করবেন ভারতীয় ট্রেন চালক। যিনি পহেলা আগস্ট পণ্যট্রেন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।

বাংলাদেশ রেলভবনের একজন আধিকারীক জানিয়েছেন, পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের ক্লিয়ারেন্স তারা দিয়ে দিয়েছেন। যে  ট্রেন চালক বাংলাদেশে আসছেন, তিনি শুধু ইঞ্জিন নিয়ে লার্নিং  ট্রায়ালে চিলাহাটি আসবেন। পহেলা আগস্ট গম ও পাথর নিয়ে ৩০ বগির পণ্য ট্রেন বাংলাদেশে আসবে। যার গন্তব্য হতে পারে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীর পর্যন্ত। সৈয়দপুর পার্বতীপুরও পণ্য নামতে পারে। নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে পণ্যবাহী ওয়াগন রেখে ইঞ্জিনটি ভারত চলে যাবে। পণ্য খালাস শেষে ফের এসে ওয়াগন নিয়ে যাবে ভারতীয় ইঞ্জিন।

অপর দিকে উভয় দেশের তরফে যাত্রী ট্রেন চলাচল সকল ব্যবস্থাই ঠিকঠাক রয়েছে। রয়েছে যাত্রী চালানোর গ্রিন সিগন্যাল। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে যা থেমে রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন। যাত্রী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের ঢল নামতে ভারতের উত্তরের জনপদ দার্জিলিংসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মানুষ দার্জিলিং ভ্রমণ করে থাকেন। তাদের যেতে হয় অনেক পথ ঘুরে এবং ব্যয়ও বেশি হয়ে থাকে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথে রেল সচল হলে পণ্যবাহী কোন ট্রেন বাংলাদেশে আসতে ১৫০ কিলোমিটার পথ সাশ্রয় হবে। সেক্ষেত্রে মাত্র ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতেই বাংলাদেশে আসা সম্ভব হবে।

বর্তমানে বিরল-রাধিকাপুর দিয়ে ২১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বর্তমানে চারটি রেলপথে প্রতিদিন ভারত থেকে গড়ে ৪টি পণ্যবাহী ট্রেন বাংলাদেশে আসছে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কলকাতা থেকে উত্তরপূর্ব ভারতের পথে কোন যাত্রীট্রেন দর্শনা কিংবা বেনাপোল দিয়ে প্রবেশ করে তা বাংলাদেশের  ভেতর দিয়ে চিলাহাটি হয়ে হলবাড়ি পৌছাবে। তাতে কমপক্ষে ২০০ কিলোমিটার পথ সাশ্রয় হবে ভারতের।

ঢাকা/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়