ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘স্থিতিশীল তহবিলে অর্থ জমা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  
‘স্থিতিশীল তহবিলে অর্থ জমা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই’

শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’ বা ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

ফান্ডটি ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্বতন্ত্র পরিচালনা পর্ষদ কাজ করছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের কোম্পানিসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানও তাদের অদাবিকৃত বা অবণ্টিত লভ্যাংশ বা অর্থ ওই ফান্ডে জমা দিচ্ছে। ফলে এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের ব্যবহার নিয়ে আলাপকালে তিনি রাইজিংবিডির কাছে এমন মন্তব্য করেন।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশের আর্থিক খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভার উদ্ধৃতি দিয়ে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অদাবিকৃত লভ্যাংশ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রাজি নয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যা বলেছে, সেটা তাদের আরও ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হয়েছে। এখানে মূল বিষয় দুটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযাী অদাবিকৃত টাকা ১০ বছর পর বাজেয়াপ্ত করা হয়ে থাকে। এতে পরে ওই টাকার মালিকানা দাবি করার যুযোগ থাকে না। সেই হিসেবে আমাদের পরিকল্পনা পুরোপুরি ভিন্ন। স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অদাবিতকৃত বা অবণ্টিত বা এ সম্পর্কিত যত ধরনের জিনিস নিয়ে আমরা কাজ করছি, তা অনন্তকাল ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমনকি মালিকের মৃত্যুর পরও তার ওয়ারিশ ওই টাকা যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে বুঝে নিতে পারবেন। আর ওই ফান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে যদি মুনাফা আসে, সেটিও পাবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো আমরা ফান্ডটি বাজেয়াপ্ত করছি না। যদি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো অদাবিতকৃত শেয়ার বা অর্থ বাজেয়াপ্ত করতাম তাহলে সাংঘর্ষিক বলার সুযোগ থাকতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘অমরা অদাবিতকৃত শেয়ার বা অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে ভিন্নভাবে ব্যাবহার করার চেষ্টা করছি। এতে ওই অর্থের ঝুঁকি কমিয়ে নিরাপদ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্বতন্ত্র পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আর তার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিএসইসি কাজ করবে। ফলে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই বললেই চলে।’  

ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের পর্ষদ দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকসহ সব কোম্পানি স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দিচ্ছে। ফান্ডটি ব্যবহারে যথাযথ ভাবে কাজ চলছে। এটা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আমরা এ কাজটি করছি।’

দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির সমন্বয় ও সংযোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আরও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে কামনা করি। আসলে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা প্রমাণ করে যে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি।’

এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়