‘শুধু দেশে নয়, বিশ্বেও নাম্বার ওয়ান হবে ওয়ালটন’
প্ল্যানিং প্রোগ্রামে ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
‘ওয়ালটন বাংলাদেশে যেমন নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড, তেমনই বিশ্বজুড়েও হবে নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড। সেই স্বপ্ন দেখি আমরা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা হওয়া সম্ভব।’
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার এবং এরিয়া ম্যানেজারদের নিয়ে আয়োজিত প্ল্যানিং প্রোগ্রামে ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন প্লাজাকে স্বাধীন বিভাগ ঘোষণা করা হলো। এই অর্জন ৩ হাজার প্লাজা কর্মীর। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর শ্রমের বিনিময়ে ওয়ালটন যেভাবে দেশের এক নম্বর হয়েছে, তেমনই ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়েও এক নম্বর হবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি।’
সিইও বলেন, ‘এক নম্বর হওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে সব সময় পরিকল্পনা, পরিশ্রম, বিক্রয়, গ্রাহকসেবার বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। মাসিক বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার, সেটা করতে হবে। আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে, সহযোগিতায় আমি আপনাদের পাশে আছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওয়ালটন সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করছি।’
বিশেষ অতিথি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমি জানি, ওয়ালটন প্লাজায় কাজ করা অনেক কষ্টকর। সবকিছু ঠিকমতো করে টার্গেট অর্জন করা আরও কষ্টকর। আমি নিজেও একসময় প্লাজায় কাজ করতাম। সে কারণেই আপনাদের সফলতা, ব্যর্থতা, কষ্ট, প্রাপ্তি—সবকিছুর সঙ্গে আমার সাপোর্ট থাকবে।’
এরিয়া ম্যানেজার এবং প্লাজা ম্যানেজারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মাসিক টার্গেট পূরণ করতে হবে। মনে রাখবেন, টার্গেট সব সময় বাড়বে। সেই টার্গেট অর্জনের মাধ্যমে কোম্পানির পাশাপাশি আপনাদেরও উন্নয়ন ঘটবে।’
ওয়ালটনের ডিএমডি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দেশের মধ্যে এক নম্বরে আছি। সেটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের সবার নিষ্ঠা আর একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করার কারণে। এভাবে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের এক নম্বর ব্র্যান্ড হবো, ইনশাল্লাহ।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমডি ইভা রেজওয়ানা বলেন, ‘আপনাদের সবার কঠোর পরিশ্রমের ফসল আমাদের এই অর্জন। আপনারা ভবিষ্যতেও এভাবে কাজ করে যাবেন, যাতে আমরা বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি। বিশ্বের দরবারে দেশের সুনাম রাখতে পারি। আপনাদের সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।’
ওয়ালটন প্লাজার হেড অব এইচআর ফয়সাল ওয়াহিদ বলেন, ‘কোম্পানি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে বাইরে থেকে সিইও নেবে না। ওয়ালটন প্লাজা থেকেই প্রমোশন দিয়ে যোগ্য লোককে সিইও বানানো হবে। সেজন্য আপনাদেরকে আরও বেশি করে ওরিয়েন্টেশন ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম করানো হবে। প্রোডাক্ট নলেজও দেওয়া হবে।’
এইচআর প্রধান বলেন, ‘আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কোম্পানির উন্নয়নে কাজ করে যান। কোম্পানি সব সময় আপনাদের পাশে আছে। অতীতে আপনারা দেখেছেন, করোনার সময়ে অনেক বড় বড় কোম্পানিতে ছাঁটাই হলেও ওয়ালটনে একজন মানুষেরও চাকরি যায়নি। তাই, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যান।’
ওয়ালটন প্লাজার চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ফাহিম মাহমুদ ওয়ালটন প্লাজার টার্গেট, বিক্রয়, খরচ, বাজেটসহ বিভিন্ন বিষয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন। এ সময় তিনি বলেন, 'টার্গেট, বিক্রয়, গ্রস প্রফিট, নেট প্রফিট, ফিক্সড খরচ ইত্যাদি বিষয়ে প্লাজার সব এরিয়া ম্যানেজার এবং ম্যানেজারদের সম্যক ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই কোম্পানি তার খরচ বাদ দিয়ে প্রফিটে যেতে পারবে।’
সিএফও বলেন, ‘কোম্পানির রিটেইল, হোল সেল, করপোরেট সেল ও হায়ার সেলের প্রতি ম্যানেজারসহ প্লাজার সব কর্মীর সমানভাবে নজর রাখতে হবে। তাহলেই আমরা সবাই মিলে কোম্পানির দেওয়া টার্গেট ফিলআপ করতে পারব। মনে রাখবেন, কোম্পানির উন্নতি মানে আপনাদের সবার ব্যক্তিগত উন্নতি।’
প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএসডি-১) এর ক্রেডিট হেড আল আমিন সরকার তার বক্তব্যে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট টার্গেট অর্জনের জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম আর ইচ্ছে থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব, যা আপনারা করে দেখিয়েছেন। আশা করছি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সবাই যার যার টার্গেট অর্জন করে সফল হবেন।’
এছাড়া, ওয়ালটন প্লাজার প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএসডি-১) গ্রুপের প্ল্যানিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে বিক্রয়, লাভ, ক্ষতি, লক্ষ্যমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়ার পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন মিরপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার, ঢাকা উত্তরের এরিয়া ম্যানেজার, সাভারের এরিয়া ম্যানেজার, ধানমন্ডির এরিয়া ম্যানেজার, নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ প্লাজার ম্যানেজার, সাভার প্লাজা ম্যানেজার, কামরাঙ্গীর চর প্লাজা ম্যানেজার প্রমুখ।
রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে ওয়ালটন প্লাজার পিএসডি-১ গ্রুপের প্ল্যানিং প্রোগ্রাম ২০২১ অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৫টায়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান জাকিরসহ ওয়ালটন প্লাজা, পিএসডি-১ এর চিফ ডিভিশনাল অফিসার মীর মো. গোলাম ফারুক, এরিয়া ম্যানেজার, প্লাজা ম্যানেজারসহ প্রায় ১৪০ জন কর্মকর্তা।
মেসবাহ/রফিক
আরো পড়ুন