ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

টাকার ওপর লেখা, স্ট্যাপলিং বন্ধের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৮:৫১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
টাকার ওপর লেখা, স্ট্যাপলিং বন্ধের নির্দেশ

টাকার ওপর লেখা ও স্ট্যাপলিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা কার্যকর না হওয়ায় ফের কঠোর হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য ব্যাংক বা কারেন্সি নোটের ওপর লেখা, সিল মারা এবং স্ট্যাপলিং পরিহার প্রসঙ্গে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নোটের ওপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল মারা, নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং (১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ব্যতীত) থেকে বিরত থাকা এবং প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখসম্বলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্সি নোট বা ব্যাংক নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ও তার আগের নির্দেশনা, পরিপত্রে বর্ণিত সব বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে পুনরায় নির্দেশনা দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন: টাকা নষ্টের মহোৎসব!

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নোট গণনাকারী কর্তৃক প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখসম্বলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান থাকলেও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সরাসরি টাকার ওপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর, স্ট্যাপলিং ইত্যাদি করা হচ্ছে। ফলে, নোটগুলো অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। এরূপ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায়, যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

আরও পড়ুন: স্ট্যাপলিং পিনের ব্যবহার: নষ্ট হচ্ছে টাকা, বাড়ছে খরচ

তফসিলি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্সি বা ব্যাংক নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে আবশ্যিকভাবে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট থাকার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সেখানে মিউটিলেটেড নোট, নন-ইস‌্যু নোট, ক্লেইমস নোট, সয়েলড নোট, বিউইল্ট-আপ নোট, মিসম‌্যাচড নোট ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া, যেসব ব্যত্যয় বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে সেগুলো হলো—গণনাকৃত প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে নোট কম থাকা, উচ্চ মূল্যমানের নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকা, উচ্চ মূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি ক্লেইমস নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে অর্থাৎ বিউইল্ট-আপ নোট তৈরি করে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে রাখা এবং পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোট থাকা।

এ প্রেক্ষাপটে, গণনাকালে নোটের ওপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল মারা, নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং (১০০০ টাকা মূল্যমান নোট ব্যতীত) থেকে বিরত থাকা এবং প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখসম্বলিত লেবেল বা ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়